লেখা- কে না লেখা একটি চিঠি

যুবক অনার্য

চিঠি লিখবার কোনো অভিজ্ঞতা আমার নেই- ব্যপারটা খুব কঠিন মনে হয়।চেয়েছিলাম ছোট্ট করে কিছু লিখে দেই কিন্তু তুমি বোল্লে- দীর্ঘ চিঠি পাঠাতে হবে।যাইহোক তোমার আইডিয়াটা চমৎকার- বন্ধুদের চিঠি সাথে ক’রে বিদেশ নিয়ে যাওয়া।
এখনো কানে বাজে তোমার আবৃত্তি।”নুন” কবিতাটি আমাকে আবৃত্তি করে শুনিয়েছিলে।লেখক ছিলেন অনিক মাহমুদ বা এরকম কেউ।

এখনো কানে বাজে তোমার কন্ঠে গাওয়া- ” আমার গায়ে যত দুঃখ সয়, বন্ধুয়ারে করো তোমার মনে যাহা লয়…”
প্রিয় লেখা,আমি একজন হতাশাবাদী মানুষ।জীবনে ভালোলাগা অভিজ্ঞতা আমার খুব সামান্য।এই কম বা স্বল্প অভিজ্ঞতার মধ্যে তুমি অনেক বিশাল ভালোলাগা আমাকে উপহার দিয়েছো যা আমার সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে অনূভব করি।

সারাটা জীবন এমন কাউকে বা মানবীকে বা নারীকে খুঁজেছি যাকে সবকিছু বলা যায়।তোমাকেই হয়তো সবকিছু বলা যেতো।

ইচ্ছে হলেই তোমার কন্ঠ শোনা যেতো।মনে হতো তুমি কতো কাছে আছো।কিন্তু বিলেত চলে গ্যালে; যদিও বা কন্ঠ শোনা যাবে,তবু মনে হবে তুমি কতো দূরে!

প্রিয় লেখা,মানুষ বা নারী বিশুদ্ধ হয় না।তুমি বিশুদ্ধতার অনেক কাছাকাছি। যদি মানুষ বা নারী বিশুদ্ধ হয় তাহলে তুমিও একজন শুদ্ধতম কেউ।

কষ্ট হচ্ছে দারুণ কষ্ট হচ্ছে।খুব বেশি!

আমি আশা করি – শতভাগ আশা করি,বন্ধু,তুমি আবার ফিরে আসবে বাংলাদেশে -আবার ফিরে আসবে এই দোয়েলের দেশে।
যেখানেই থাকো,হারিয়ে যেও না।

ভালোবাসা রইলো।জন্মজন্মান্তর।

ইতি
কথক কিংবদন্তি