মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থী হিসাবে আলোচনায় এগিয়ে অ্যাড. সেলিম মিয়া

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, চাঁদপুর :
আগামী ১৬ মার্চ মোহনপুর ইউপি’র চেয়ারম্যান পদে উপ- নির্বাচনকে ঘিরে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। বইছে নির্বাচনী হাওয়া। উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন হিসেবে মোহনপুর ইউপি নির্বাচন ঘিরেও চলছে নানান হিসাব নিকাশ। সাধারণ মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন কে হবে আগামী দিনে মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাঁটে ঘাঁটে মাঠে চলছে নানা গুঞ্জন। মোহনপুর ইউনিয়নে ১৯৯২ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক চৌধুরী বাবুল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে এখন পযন্ত শুধুমাত্র ২০০৩ সালে চেয়ারম্যান পদে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছে ভোটাররা। বর্তমান প্রজন্মের ভোটাররা এজন্য অপেক্ষায় আছে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নতুন একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার জন্য।

চেয়ারম্যান পদে যে কয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতায় অংশ গ্রহণ করার জন্য মাঠে ময়দানে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে তরুন প্রজন্মের অহংকার, ছাত্রলীগের সোনালী অর্জন হিসেবে পরিচিত উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট সেলিম মিয়া। সাধারণ মানুষের নিকট বর্তমানে অন্যান্য প্রার্থীদের তুলনায় জনমত জরিপে তিনি এগিয়ে থাকারও খবর পাওয়া গেছে।

এডভোকেট সেলিম মিয়ার জন্ম মোহনপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের দেওয়ানকান্দি গ্রামে। পিতা গিয়াস উদ্দিন ও মাতা নাছিমা বেগমের পাঁচ পুত্রের মধ্যে তৃতীয় হচ্ছেন এডভোকেট সেলিম মিয়া। পাঁচআনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। পাঁচআনী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ছেংগারচর কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়ে পরবর্তীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হন। এডভোকেট সেলিম মিয়া ছেংগারচর কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকার ইচ্ছা নিয়ে ১৯৯৯ সাল থেকে এলাকার মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এডভোকেট সেলিম মিয়া বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালেও ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নিজে হেঁটে কিংবা মোটর সাইকেলে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী ও বিভিন্ন খাদ্য বিতরণ করে মানুষের পাশে থেকেছেন।

এছাড়াও বিভিন্ন দরিদ্র পরিবারের সন্তানের পড়াশোনার খরচ দেয়া, এলাকার মানুষের তথা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের বিপদে পাশে থাকা তরুন চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড মোহনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হিসেবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। এরপর ছেংগারচর কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক, মতলব উত্তর উপজেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এবং সবশেষে জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হিসেবে ছাত্র রাজনীতির সমাপ্তি ঘটে। বর্তমানে তিনি মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি অসংখ্য সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন।

সর্বোপরি এডভোকেট সেলিম মিয়ার পুরো পরিবারই আওয়ামী ঘরানার। পিতা গিয়াস উদ্দিন ছেংগারচর কলেজ গভর্ণিং কমিটির সাবেক দুইবারের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা, মাতা নাছিমা বেগম মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। তার বড় ভাই নাসির উদ্দিন ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা, বোরহান উদ্দিন ডালিম চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সদস্য, মতলব উত্তর প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং দৈনিক প্রিয় চাঁদপুর এর সম্পাদক ও প্রকাশক, আবদুল হালিম ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও মেহেদী হাসান রাব্বানী বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি।

পারিবারিকভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে এডভোকেট সেলিম মিয়া মোহনপুর ইউনিয়ন থেকে শুরু করে জেলা ছাত্রলীগের সকল ইউনিটে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের ডাকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে প্রথম সাড়িতে থেকে কাজ করে আসছেন বলেও জানা যায়। তরুন এই চেয়ারম্যান প্রার্থী আগামী দিনে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ- নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে নৌকার মনোনয়ন চাইবেন বলেও লোকমুখে গুঞ্জন রয়েছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট সেলিম মিয়া বলেন, নির্বাচিত হলে মোহনপুর ইউনিয়ন হবে একটি মডেল ইউনিয়ন। ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় কার্যকর করব। যাতে থাকবে একটি পরিচ্ছন্ন বাজার ব্যাবস্থা, সাধারণ মানুষের মাঝে সরকারী খাদ্য সঠিক ভাবে পরিবেশন, সরকারী উন্নয়ন কাজ সঠিক ভাবে সম্পন্ন করা। সরকারের ভিশন অনুযায়ী “গ্রাম হবে শহর” ওই প্রকল্পকে সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করে একটি আধুনিক ইউনিয়ন গড়ে তোলা। এছাড়াও বিধবাভাতা, বয়স্কভাতা থেকে শুরু করে সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা শতভাগ নিশ্চিত করে সাধারণ মানুষের মাঝে নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমার ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে পারিবারিক, সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনা করলে আওয়ামী লীগ নৌকা মার্কা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে আমাকে মনোনীত করবে বলে শতভাগ বিশ্বাস করি । আমি মোহনপুর ইউনিয়নবাসীর একজন খাদেম হিসেবে পাশে থেকে বাকি জীবন কাটাতে চাই। সর্বশেষ তিনি মোহনপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণ আন্তরিক দোয়া কামনা করেছেন।

উল্লেখ্য, মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক চৌধুরী বাবুলের মৃত্যুজনিত কারনে এই উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ১৯ ফেব্রুয়ারী মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন। আগামী ১৬ মার্চ মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ- নির্বাচন প্রথমবারের মত ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে।