ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) সংবাদদাতাঃ
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের সকদি রামপুর এলাকায় মাদক বিক্রির টাকা নিয়ে দ্ব›েদ্বর জেরে সোহেল বেপারী (৩০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটকৃত আসামী সাহাদাত হোসেন (৩০) উপজেলার বালিথুবা (পশ্চিম) ইউনিয়নের সকদিরামপুর এলাকার গাজী বাড়ির শাহাজান গাজীর ছেলে।
এ দিকে হত্যার ৪ দিন পর ৫ ফেব্রæয়ারী রোববার বিকেলে উপজেলার বালিথুবা (পশ্চিম) ইউনিয়নের সকদিরামপুর এলাকার বড় পাটওয়ারী বাড়ির পিছনের ডোবা থেকে মাটি চাপা অবস্থায় সোহেলের লাশ উদ্ধার করেছে চাঁদপুর সদর ও ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।
নিহত সোহেল বেপারী চাঁদপুর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর তিন তাল গাছতল এলাকার ফজলু মিয়া বেপারীর ছেলে।
তথ্যসূত্র জানায়, পহেলা ফেব্রæয়ারী বুধবার রাতে ৫ বন্ধু মিলে উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদি রামপুর বাইক্কার বাগান এলাকায় মাদক সেবন করতে গিয়ে মাদকের অর্থ নিয়ে উভয়ের মাঝে বাগবিতন্ডা হয়। এক পর্যায় সাহাদাত, কাউছার, জাকির ও কাদিরসহ রশি দিয়ে সোহেল বেপারীর গলায় পেঁছিয়ে ধরলে তার মৃত্যু হয়। পরে তারা লাশ সকদি রামপুর বড় পাটওয়ারী বাড়ি পিছনের ডোবায় মাটি চাপা দিয়ে রাখে।
এ দিকে গত ১ ফেব্রæয়ারীর পর থেকে সোহেল বেপারীর কোন খোঁজ না পাওয়ায় তার স্ত্রী জো¯œা বেগম ৫ ফেব্রæয়ারী সকালে চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করে। (ডায়েরী নং-৭৪)। সে আলোকে চাঁদপুর মডেল থানার এ. এস. আই শহীদ উল্লা অনুসন্ধানে নামে এবং সোহেলের পরিবারের দেওয়া তথ্যমতে ফরিদগঞ্জের চান্দ্রা বাজার এলাকা থেকে সাহাদাত হোসেনকে আটক করে। সাহাদাত হোসেনকে ব্যাপক জিজ্ঞাবাদে সোহেল বেপারী হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে সকদিরামপুর এলাকার বড় পাটওয়ারী বাড়ির পিছনের ডোবা থেকে মাটি চাপা অবস্থায় সোহেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশি তথ্যমতে নিহত সোহেল বেপারী ও আটককৃত সাহাদাতের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
লাশ উদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট আজিজুন নাহার, ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল মান্নান, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রশিদ।
