ফরিদগঞ্জে চর কমিটির বিরোধে দু’শতাধিক কৃষক সুবিধা বঞ্চিত

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের মীরপুর চরেরর কমিটি নিয়ে বিরোধে প্রায় দু’শতাধিক কৃষক চর ইজারা দিতে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। তাছাড়া চলতি মৌসমে বোর ধান চাষাবাদের বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। অপরদিকে পৌর মেয়রের নিকট সুষ্ঠু সমাধানের জন্য কৃষক ও কমিটির লোকজন গিয়ে ভোগান্তির মাত্রা আরোও বেড়েছে।

এ বিষয়ে কৃষক ও থানায় অভিযোগকারী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ জাকির হোসেন বেপারী, আঃ রশিদ, বেলায়েত, ইব্রাহীম, আবদুল্লাহ আল মামুনসহ অনেকেই জানান, মাও. মহিবউল্যাহ চর কমিটির সভাপতি হওয়ার পর দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় পৌরসভায় শুধুমাত্র মহিবউল্যাহর বিরুদ্ধে জাকির হোসেন বেপরী অভিযোগ করেছে।

সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাবেক সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন রুনু, জাকির হোসেন ও আব্বাস উদ্দিন মেয়রের নিকট গিয়ে সমস্যার সমাধান চাইলে মেয়র তদন্তসাপেক্ষে আনোয়ার হোসেন খোকনকে সভাপতি করে একটি কমিটি ঘোষণা দেয়।

এতে সমস্যা সমাধান না হওয়ায় রুনু, কামাল মিজিসহ মেয়রকে সভাপতি প্রস্তাব দিলে মেয়র দায়িত্ব নিতে সম্মত হননি। পরিশেষে মেয়র চর ইজারার জন্য ০৬ মার্চ মিরপুর স্কুল মাঠে মিটিং ডাকে মিটিংএ ডাককারী প্রতিযোগী না থাকায় পুনরায় বৃহস্পতিবার আরেকটি তারিখ নির্ধারণ করেন।

এমন পরিস্থিতিতে মেয়র মহোদয়ের সম্মান ক্ষুন্ন করায় আমি প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। জাকির হোসেন আরোও জানান, কৃষকের স্বার্থে মেয়র সুষ্ঠু সমাধান দিয়ে গিয়েছে, সেখানে একটি চক্র ওনার সম্মান নষ্ট করায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে চর কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ মোশারর্ফ হোসেন রুনু জানায়, আমরা মাওঃ মহিবুল্যাহর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেয়রের নিকট গিয়েছি। তাছাড়া কৃষদের মতামতের ভিক্তিতে একটি সুন্দর কমিটি গঠন ও চর পরিচালনা সুষ্ঠু ভাবে হবে সে লক্ষ্যে মেয়রের সহযোগীতা চেয়েছি। সে মোতাবেক কাজ না হওয়ায় কৃষকরা মিটিংএ উপস্থিত হয়নি। এখানে মেয়রের সম্মান ক্ষুন্নতো কেউ করেনি। বর্তমানে আমি চরের ধান চাষে পানি নিষ্কাশনসহ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। তবে কমিটি জটিলতায় মাছ চাষের জন্য চরটি ইজাড়া বিলম্বিত হচ্ছে । তাছাড়া প্রায় দু‘শতাধীক কৃষক ও জমির মালিক তাদের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা এর একটি সুষ্ঠু সমাধান চাই।

এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা এস আই (সেকেন্ড অফিসার) জামাল উদ্দিন শনিবার জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষকে ডেকে সমাধানের কথা বললে প্রতিপক্ষ থানায় অথবা এলাকায় বসতে চায়। মেয়র মহোদেয়ের কার্যালয়ে বসতে রাজি হচ্ছে না। ১৭ মার্চ শুক্রবার বসার কথা থাকলেও প্রতিপক্ষের লোকজন পৌরসভায় উপস্থিত হয়নি। তারপরেও সমাধানের প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মান্নান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছি।


এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী জানান, একটি কুচক্রীমহল সাধারণ কৃষকদের জিন্মি করে দীর্ঘদিন এ চরের কৃষকদের সুবিধা বঞ্চিত করে রেখেছে। আমি এ চক্র থেকে সাধারণ কৃষকদের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছি। তাছাড়া তিনি আরোও জানান, একটি চক্র সকল সময়েই ভালো কাজের বিঘ্ন সৃষ্টি করতে চায়। এদের কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না; সকলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মধ্যদিয়েই একটি সুষ্ঠু সমাধান দেওয়া হবে।