ফরিদগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘাতে ইউপি সদস্যসহ আহত ৬

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) সংবাদদাতা:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডি কার্ড নিয়ে অনিয়মের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ইউপি সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পুলিশকে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন রাসেল, আজাদ ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে।

তথ্য সূত্র জানায়, পবিত্র রমজান উপলক্ষে আসা ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নে ১০৩টি ভিজিডি কার্ড বিতরণে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের কথা উল্লেখ করে সোমবার ২৭ মার্চ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর ওই ইউনিয়নের ৯জন ইউপি সদস্য লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার (২৮মার্চ) ওই ইউনিয়নের এসব কার্ডের বিপরীত চাল বিতরণের কথা ছিল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও চাল বিতরণ কর্মসূচী স্থগিত করে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের অনুসারী ও ইউপি সদস্যদের মধ্যে কথকাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ইউপি সচিবের কার্যালয়ের চেয়ার টেবিল ভাংচুর ও কাগজপত্র তচনছের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ইউপি সদস্য ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন রাসেল, আজাদ হোসেনসহ অন্তত ৬/৭জন আহত হয়। প্রশাসন বুধবার চাল বিতরণ করবে বললেও এ রিপোর্ট লিখার সময় পর্যন্ত চাল বিতরণের সুরাহা করতে পারেনি ।

হামলায় আহত যুবলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন রাসেল বলেন, আমি ভিজিডির চাল নিতে আসলে ইউপি সচিব বিতরণ বন্ধ রয়েছে বলে জানায়। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানাই। চেয়ারম্যানকে চাল দিতে বলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার উপর হামলা হয়।

ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, ভিজিডি নিয়ে অনিয়মের ব্যাপারে অভিযোগ করায়, ইউএনও চাল বিতরণ বন্ধ রাখেন। কিন্তু চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে জোর পুর্বক চাল বিতরণ করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় আমি হামলার শিকার হই।

ইউপি সচিব আমির হোসেন বলেন, ইউএনওর নির্দেশে ভিজিডির চাল বিতরণ বন্ধ রাখি। চাল বিতরণ বিষয়ে কথকাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার অফিস ভাংচুরের শিকার হয়।

ভিজিডির কার্ডের অনিয়মকে কেন্দ্র করে

ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন রিপন জানান, ইউনিয়ন পরিষদে সৃষ্ট মারামারির ঘটনার পর ইউএনও আমাকে ডেকেছেন। এই বিষয়ে তিনি আরোও জানান, নিয়ম মেনেই সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করা হবে। ইউপি সদস্যদের খাম খেয়ালীপনাই এ জন্য দায়ী ।


থানার অফিসার ইনচার্জ আ: মান্নান সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা তাসলিমুন নেছা মঙ্গলবার চাল বিতরণ বন্ধ রাখার কথার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ইউপি সদস্যদের লিখিত অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।