আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবসে চাঁদপুরে র‌্যালি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

কবির হোসেন মিজি :

আমাদের নার্স, আমাদের ভবিষ্যৎ। এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে ধারণ করে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে চাঁদপুরে আন্তজার্তিক নার্সেস দিবস ২০২৩ উদযাপিত হয়েছে। ১২ মে শুক্রবার সকালে চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউট ও চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের যৌথ আয়োজনে নার্সেস দিবস উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়।

র্যালীটি নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে বের হয়ে শহরের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে গিয়ে তা শেষ হয়। র্যালী শেষে হলরুমে শুরু হয় আলোচনা সভা, কেক কাটা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আলোচনায় সভা প্রধানের বক্তব্য রাখেন আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ কে এম মাহাবুর রহমান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম সোহেল।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মাঝে আর বক্তব্য রাখেন নার্সিং ইনস্টিটিউটের সুপারিনটেনডেন্ট সানজিদা আলম, ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ মোসাম্মৎ জয়নব বেগম, চাঁদপুর লেডি প্রতিমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোরশেদা ইয়াসমিন, সেইভ দা চিলড্রেনের প্রতিনিধি ডা. মৌরি আফসানা, ইউএনএফপিএ’র প্রতিনিধি ডা. শামীমা নাসরিন, চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর খাদিজা বেগম প্রমুখ।

চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থী মনোরঞ্জন সরকার, লিলি মারমা ও নার্স আফসানা বেগমের যৌথ পরিচালনায়, এসময় আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত অন্যান্য নার্স এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটের সিনিয়র নার্সরা ও বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়ে বিভিন্ন রচনা পাঠ, নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন করেন নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডা. এ কে এম মাহবুবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আমি প্রথমেই স্মরণ করছি বাংলার ৩০লাখ শহীদদের। যাদের তাজা রক্ত এবং মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ পেয়েছি। কারণ তারা দেশটি স্বাধীন করেছে বলেই আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি।

তিনি বলেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক কাজ করে চলেছেন। মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে এটি সরাসরি তারই অবদান। তার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণেই এগিয়ে চলছে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন। করুণা কালীন সময়েও তিনি স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ব্যাপক কাজ করেছেন। এজন্য অবশ্যই আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।

নার্সদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যে প্রফেশন নিয়ে কাজ করছেন, সেটাকে পেশা হিসেবে না নিয়ে, সেবা হিসেবে কাজ করতে হবে। আমাদের যে নীতি ও আদর্শ রয়েছে সকলকে সেই নীতি ও আদর্শকে মেনে চলতে হবে। সরকারি হাসপাতালের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে এই নার্সরা। কারণ আপনারা শত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও নিরলসভাবে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, আপনারা রোগীদেরকে যে সেবা দিচ্ছেন, এই সেবার কাজটাও কিন্তু একটা এবাদত। আমরা সবাই সরকারের অধীনস্থ চাকরি করি। এর জন্য এখানে অনেক সম্মান রয়েছে। সে সম্মান বজায় রেখেই আমাদেরকে সেবা করতে হবে। একই সাথে নতুনদেরকে সুযোগ করে দিতে হবে। আমরা একই পরিবারের হয়ে মিলেমিশে কাজ করবো।