ক্রুশবিদ্ধ জোছনা : যুবক অনার্য

 

তারপর আমি দাঁড়িয়ে রইলাম কিছুটা সময়
সামান্য দূর থেকেও তুমি আমাকে দেখতে পাওনি অথবা চাওনি দেখা হয়ে যাক
আমি এগিয়ে গেলাম
দাঁড়ালাম তোমার সমুখে যেভাবে দাঁড়াতাম সতেরো বছর আগে
সতেরো বছর তবু মনে হয় এইতো সেদিনের কথা
সময়ের চেয়ে দ্রুত কোনো ডানা নেই
তোমাকে নিশ্চুপ দেখে আমাকেই শুরু করতে হলো
জানতে চাইলাম কুশলাদি
কেমন আছে অবিনাশ
বোল্লে- ভালো

ভাবলাম- অবিনাশগণ ভালোই থাকে চিরদিন
তবে কি ঈর্ষা থেকেই এরকম ভাবনাবচন-
হা হা হয়ে উঠতে পেরেছে অবিনাশ ওরকম কেউ
যেন প্রশ্ন করাই নিয়ম তাই প্রশ্ন করছিলাম
যেন কথা বোলবার দায়ভার শুধু আমার তাই আমিই বোলছিলাম
তবে কোনোকিছু জানবার কোনো ইচ্ছেই ছিলো না আমার
জানতে চাইনি চাইবো না কোনোদিন –
ওভাবে চলে গিয়েছিলে কেনো!

মেয়েদের প্রস্থান ভঙিমা খুব শিল্পহীন
অথবা চলে যাওয়াই হয়তো মহান শিল্প কোনো
তুমিও জানতে চাও নি কিছু।
জিজ্ঞেসও করোনি-কেমন আছি।
শুধু বোল্লে- যাই।
১৭ বছর আগে ‘যাই’ না বোলেই চলে গিয়েছিলে
চলে যাবার সংগে যাই বোলবার সম্পর্ক নেই- এ কথা জেনেছিলাম
নিষিদ্ধভূবনগুলি পেরুনোর পর
চলে গ্যালে যেন কোনো চলচ্চিত্রে শেষ দৃশ্যের মতন পর্দা ক্লোজ হলো প্রেক্ষাগৃহের
আর মনে হলো- তুমি ভুলে গ্যাছো একদা সারারাত
কৃষ্ণচূড়ার সৌরভ কম্পিত স্পর্শের কররেখা
‘মিস করা’ শব্দটি তোমার সংবিধানে নেই
প্রকৃত ভালো তুমি কাউকেই বাসতে পারোনি

এমনকি অবিনাশকেও না
এসব না জেনেই অবিনাশগণ
থই থই সুখভ্রমে কাটিয়ে দেয় একটা জীবন
তোমার প্রস্থান ভংগিমা আমাকে নিখুঁত জানিয়ে দেয়-
কিছু শূন্যতা কখনো ছোঁবে না
কিছু জোছনা কখনোই ক্রুশবিদ্ধ নয়