‘কুয়াকাটা পর্যাটন ও পায়রা বন্দর হবে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক জোন’

জাকারিয়া জাহিদ,কুয়াকাটা, কলাপাড়া প্রতিনিধ :

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আন্তঃজেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কুয়াকাটার অফিস উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশন সভাপতি মোঃ শাহজাহান খান(এমপি)।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে নব নির্মিত কুয়াকাটা পৌর বাস স্টান্ড সংলগ্ন এ অফিস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পটুয়াখালী আন্তঃজেলা বাস মিনিবাস,কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন কুয়াকাটা শাখার সভাপতি মোঃ ছগির মোল্লার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এমপি,বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ওসমান আলী, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সুলতান আহমেদ, কুয়াকাটা পৌর মেয়র মোঃ আনোয়ার হাওলাদার প্রমুখ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, এক সময় দক্ষিনাঞ্চল ছিল অবহেলিত। এখন সেই দক্ষিনাঞ্চলে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় আসতে ১৩ টি ফেরী পাড় হতে হতো। এক থেকে দেড় দিন সময় লাগডো কুয়াকাটা আসতে। ফেরীবিহীন সড়ক আমাদের জীবন যাত্রার মান পাল্টে দিয়েছেন। এখন ঢাকা থেকে কুয়াকাটা আসতে ৫-৬ ঘন্টা সময় লাগে। পদ্মা সেতু হওয়ায় দক্ষিনাঞ্চল বাসীর ভাগ্য খুলে গেছে।

তিনি আরো বলেন, সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী নাজমুল হুদা পদ্মা সেতুর প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল। সেই বিএনপি জামাত এখন পদ্মা সেতুর সুফল ভোগ করছে। পদ্মা সেতু রেলপথ সহ যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন এনেছে। এনেছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। এরশাদ, জিয়া, খালেদা জিয়াসহ বিএনপি জামাত একাধিক বার ক্ষমতায় ছিল। তারা দক্ষিনাঞ্চল সহ দেশে কোন উন্নয়ন করেনি। তারা দূর্নীতিতে পাচঁবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের সরকার।

বিএনপি জামাতের সময় সড়কে চাঁদাবাজি সহ নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছে। আর আওয়ামী লীগ সরকার সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছে। সড়ক এখন চাঁদাবাজ মুক্ত। তিনি আরো বলেন, পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা ঘিরে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

আগামী পাঁচ বছরে আমুল পরিবর্তন হবে। কুয়াকাটা পায়রা হবে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক জোন। এসময় তিনি আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে আবারও ক্ষমতায় আনতে সকলের প্রতি আহবান জানান। এ অনুষ্ঠানে পরিবহন শ্রমিক সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।