ফরিদগঞ্জে লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ

মোঃ মহিউদ্দিন, ফরিদগঞ্জ :

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অনিয়ন্ত্রিত রেঅডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। চলমান এইচ এস সি ও আলিম পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহের ফিডারে ১০/১৩ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছেনা।

শিক্ষার্থী মসজিদের মুসুল্লি, ব্যবসায়ী, সংবাদকর্মীসহ সরকারী বেসরকারী, স্বায়ত্বশাসিত অফিসগুলোতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দেখা গেছে , অনেক সময় ঝড় ও যান্ত্রিক ত্রæটির জন্য বিদ্যুৎ থাকছেনা। লাইনে ডাল-পালা পড়ে থাকলে তা খোঁজ করতে ৮/১০ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগছে। অত্র উপজেলায় ৫২টি হাই স্কুল, ৫৪টি মাদ্রাসা, ১৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৫০টি কাওমি মাদ্রাসা, ৪৫/৫০টি হাট বাজার রয়েছে।

এ সকল প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম চালাতে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এদিকে দিনেরাতে অসংখ্যবার বিদ্যুৎতের আসা-যাওয়ার কারণে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদিগুলো বিকল হয়ে পড়ছে। ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসটি ৯টি ফিডারে ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২০৭টি গ্রামের ৯৪ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। লোড শেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়া সহ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। মুদি দোকান, পোল্ট্রি শিল্পে লোকসান গুণতে হচ্ছে। সরকারি- বেসরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতার ও ডায়াগনষ্টিকগুলোতে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।

গ্রাহকদের মধ্যে ডাঃ দেলোয়ার, ব্যবসায়ী শাহাজাহান বেপারী ,শিক্ষক নূরে আলম টুটুল, আলাউদ্দিন, জামাল হোসেনসহ অনেকেই জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি খুবই খারাপ। দেখাগেছে, ২৪ ঘন্টায় ৫ নম্বর ফিডারে সর্বসাকুল্যে ৮/৯ দাপে ৫ ঘন্টাও বিদ্যুৎ পাইনি।একই অবস্থা অপরাপর ফিডারগুলোতেও বিরাজ করছে।তারা আরোও জানান, আমরা বিদ্যুতের প্্রাপ্তি ও চাহিদার নিয়মানুযায়ী লেঅডশেডিং মানতে রাজি। কিন্তু অহেতুক যান্ত্রিক ত্রæটি, গাছপালা ভেঙ্গে পড়া ও ঝড়ের অযুহাত তুলে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ করা মানতে পারছিনা।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, মাঝে মধ্যে লোড শেডিং হয়। তবে বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে।ঝড় ও যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে অনেক সময় সমস্যা হয়ে থাকে। তবে এ সমস্যা অচিরেই কেটে যাবে। তাছাড়া গ্রাহকদের সচেতন হতে হবে। কোথাও গাছের ডালপালা পড়ে থাকলে দেখামাত্র আমাদের জানানো উচিত। এ ছাড়া আরোও একটি সাব ষ্টেশন করা হলে সমস্যা অনেকাংশে থাকবেনা। তাছাড়া আগামি এক মাসের মধ্যে লোডশেডিং কেটে যাবে।