মনপুরায় ৬ ডাকাতকে ধরতে পুলিশ-জনতার যৌথ অভিযান

মনপুরা প্রতিনিধি :

ভোলার মনপুরায় বিচ্ছিন্ন চরে ৬ ডাকাতকে ধরতে রাতভর পুলিশ-জনতার যৌথ অভিযান চালায়। তবে ডাকাত ধরতে জনতা বিচ্ছিন্ন চর রাতভর ঘিরে রাখলেও সকালে বিপুল অর্থের বিনিময় পুলিশ ডাকাতদের চর থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে বলে অভিযোগ অভিযানে অংশ নেওয়া স্থানীয়দের।

এদিকে রোববার সকাল ১০ টায় পুলিশ-জনতার যৌথ অভিযানে ডাকাতদের ব্যবহৃত একটি ট্রলার ও ৩ গরু উদ্ধার করে মূল ভূ-খন্ডে নিয়ে আসে পুলিশ-জনতা।

এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১১ টা থেকে রোববার সকাল ১০ টায় পর্যন্ত ১২ ঘন্টা উপজেলার হাজীরহাট ইউনিয়নের সোনার চর পশ্চিম পাশের বিচ্ছিন্ন সুজন মেম্বার চরে ডাকাত ধরতে যৌথ অভিযানে অংশ নেয় পুলিশের এস.আই সাগর দে এর নের্তৃত্বে পুলিশের চার সদস্যে ও চার ট্রলারের ভর্তি স্থানীয় জনতা।

রোববার রাত সাড়ে ৭ টায় মনপুরায় থানায় লুট হওয়া গরুর মালিক রাবেন্দ্র কুমার দাস হাজীরহাট ইউনিয়নের এক সদস্য সহ ৬ ডাকাতকে আসামীকে করে মনপুরায় থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মনপুরা থানার ওসি মোঃ জহিরুল ইসলাম। তবে এজাহারটি মামলা হিসাবে নেওয়া হবে জানান।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১১ টায় সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের ৬ সদস্যের একটি টিম একটি ট্রলার করে উপজেলার হাজীরহাট ইউনিয়নের মূল ভূখন্ডে সোনার চরে ঘরে ঘরে গিয়ে ডাকাতি শুরু করে। পরে ওই এলাকায় বসবাসরত শনাতন ধর্মীয় বাড়ি থেকে ৩ গরু লুট করে ট্রলারে নিয়ে চলে যায়। পরে খবর পেয়ে রাতে পুলিশ-জনতা ট্রলার-স্পীডবোটযোগে ডাকাতদের ব্যবহৃত ট্রলারকে মেঘনায় ধাওয়া করে। একপর্যায়ে ডাকাত দল লুট করে নিয়ে যাওয়া ৩ ট্রলারসহ ট্রলারটি বিচ্ছিন্ন সুজন মেম্বারের চরে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় জনতা ডাকাত ধরতে পুরো চরটি ঘিরে রাখে।

কিন্তু পরদিন রোববার সকালে ১০ টায় পুলিশ ডাকাত ধরতে চরে অভিযান না চালিয়ে অভিযানে অংশ নেওয়া স্থানীয় জনতাকে নিয়ে মূল ভূখন্ডে নিয়ে আসে। কিন্তু ডাকাতদের রেখে যাওয়া একটি ট্রলার ও লুট করে নিয়ে যাওয়া তিনটি গরু নিয়ে আসে।

পুলিশের এমন ভূমিকায় স্থানীয় জনতা ডাকাতদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে বলে অভিযোগ করছে অভিযানে অংশ নেওয়া জনতা। তাদের অভিযোগ বিপুল পরিমান অর্থের লেনদেনে পুলিশ ডাকাতদের না ধরে চর থেকে পালাতে সাহায্য করে।

অভিযানে অংশ নেওয়া ও লুট হওয়া তিনটি গরুর মালিক তপন চন্দ্র দাস, রাবেন্দ্র কুমার দাস, প্রফুল্ল চন্দ্র দাস সহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের সহযোগিতা ডাকাত চক্র হাজীরহাট ইউনিয়নের সোনার চর এলাকায় ডাকাতি শুরু করে। পরে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে ধরতে পুলিশ-জনতা একটি চরে ঘিরে রাখলেও বিপুল অর্থের বিনিময় পুলিশ ডাকাতদের চর থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে।

এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, অর্থের বিনিময় পুলিশ ডাকাতদের পালিয়ে যেতে সাহায্যের বিষয়টি সত্য নয়। ঘটনা শুনার পর রাতে পুলিশ-জনতা ডাকাত ধরতে চরে অভিযান চালায়। তবে কোন ডাকাত আটক করতে না পারলেও লুট হওয়া তিনটি গরু ও ডাকাতদের ব্যবহৃত একটি ট্রলার আটক করে। তবে উদ্ধার হওয়া গরুর মালিক থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।