তাহাদের কথা

যুবক অনার্য :

জরাজীর্ণ এ জীবন গেলো কেটে
জীবনের পরিধি থেকে আরেক জীবনের
অনুসন্ধান নিয়ে তবু তো হেঁটে যাই
রক্ত ব্যথা আর উদগিরণ কেটে কেটে
নৌকার মতন জলের রেখাগুলি দিয়ে
মানচিত্র একেঁ যেতে যেতে
এ বছর যুদ্ধ হলো না, যুদ্ধের মাস বুঝি শেষ হয়ে গেছে! তবে কি মানুষেরা সভ্য হয়ে গেলো!
হয় নি তো! war না হলেও battle কিন্তু থেমে নেই
এ হলো মানুষেরই পরাজয়
শঙ্খদা যখন বলেছিলেন এক দশকে তখন
সংঘ ভেঙে যেতো
এখন কিন্তু এক দিনেই সংঘ যাচ্ছে ভেঙে
যেমন :কিছু লোক আছেন যারা কবি নন
কবিতার নাম ধরে ঢুকে যান কবিদের তল্লাটে
যেখানে বাস করেন এমনকি আবুল হাসানের মতো বাঘা এক কবি
আর সেই লোক যিনি নামধারি
কবিতার নামে হত্যা করতে চায় আবুল হাসানকেও
কেননা নামধারি সেই লোকসকলের জানা সম্ভব নয় – আবুল হাসানের মৃত্যু নেই কোনোকালে
আমার মতন এই ক্ষুদ্র ছায়ার পেছনেও
তাহারা একবার হেঁটে এসেছিলো
ভেবেছিলো- আমি বুঝি কবি
নেড়েঘেটে দেখে নিলো আমার এ লেখাগুলি
কবিতা কখনও নয়
তাই এ যাত্রা বেঁচে যাওয়া গেলো
তবে প্রশ্ন তো থেকেই যায়- এ সকল লোক
কবিতা কতোটুকু চেনে!
আমার গল্প না হয় এখানেই শেষ হয়ে গেলো
শুরু হোক অন্য কারো কথা
বলি- বলিনা কেনো যারই কথা- উপকথা
সবখানেই উহারা ঘোরাফেরা করে
কথার মাঝখান থেকে কথা কেড়ে নিয়ে
অন্য অর্থ বসিয়ে দেয় কায়দাকানুন নেড়েচেড়ে
এ বিদ্যে ঢের তাহাদের।

পাতে খেয়ে পাতেই বমন করেছে চিরকাল
এ লেখা লেখা হলো নিয়ে যাহাদের!