পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে পানিতে ডুবে চিতা বাঘের মৃত্যূ

এন এ রবিউল হাসান লিটন, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী সীমান্তে গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে নাগর নদীতে পরে চিতা বাঘের মৃত্যূর খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের পশ্চিম দাড়খোর সীমান্তের ৪০৪ নং মেইন পিলার এলাকায় ঘটেছে।

খবর পেয়ে বিজিবি ও বারঘাটি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ মৃত চিতা বাঘ উদ্ধার করে। পরে বন বিভাগের সহায়তায় মৃত বাঘটি ময়না তদন্তের জন্য উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়।

স্থানীয়দের ধারণা গত বুধবার দাড়খোর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বাঘটি সীমান্ত এলাকায় জনৈক আলম নামের এক কৃষকের একটি গরুর গলায় আহত করে গরুটিকে অর্ধেক খেয়ে পালিয়ে যায়। গরুর মালিক শিয়ালের আক্রমণে তার গরুর মৃত্যু হয়েছে মনে করে। এজন্য তিনি ক্ষোভে অর্ধেক খাওয়া গরুটিতে বিষ প্রয়োগ করে নদীর ধারে পেলে রাখে।

এদিকে শুক্রবার সকালে জনৈক শ্রমিক সীমান্তের নাগর নদী এলাকায় প্রাপ্ত বয়স্ক চিতা বাঘ দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে গ্রামবাসী ছুটে আসে এবং বাঘটিকে ঘায়েল করতে ফন্দি আঁটে। এসময় গ্রামবাসী নদীতে জাল ফেলে বাঘটি আটকের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে অসুস্থ বাঘটি ধাওয়া খেয়ে নদীর পানিতে পরে ডুবে বাঘটির মৃত্যূ হয় বলে স্থানীয়দের ধারণা।

এদিকে আবার অনেকের ধারণা বিষ প্রয়োগ করা বিষাক্ত মরা গরুটি খেয়ে বাঘটি অসুস্থ হয়ে পড়লে অতি সহজেই নদীর পানিতে ডুবে মারা যায় বাঘটি।

এব্যাপারে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মধুসুদন বর্মন বলেন, মৃত চিতা বাঘটি ময়না তদন্তের জন্য প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে বাঘটি টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু আঞ্চলিক জাদুঘরে হস্থান্তর করা হবে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, মৃত বাঘটি ময়না তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাত দৈর্ঘ্য বাঘটি প্রাপ্ত বয়স্ক বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ওজন প্রায় ৭০ কেজি হতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেদুল হাসান জানান, চিতা বাঘ মৃত্যূর খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে মৃত সহ সার্বিক বিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে রির্পোট দাখিল করতে বলা হয়েছে।