রূপগঞ্জে মাহে রমজানে রংধনু গ্রুপের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী পেলো ৫ হাজার পরিবার

নিজস্ব প্রতিনিধি:
মাহে রমজান উপলক্ষে বৃহৎ শিল্প গ্রুপ রংধনু গ্রুপের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৫ হাজার দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে ।

বুধবার ( ১৩ মার্চ ) বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলা কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় অবস্থিত রংধনু গ্রুপের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে দরিদ্র পরিবারদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয় ।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো, গরুর মাংস, চাল, তেল, ডাল, আলু পিঁয়াজ।

এ সময় রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম বলেন, রংধনু গ্রুপ সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও মাহে রমজান উপলক্ষে আমরা ৫ হাজার পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী সহায়তা দিচ্ছি। আমি চাই আমার এলাকার মানুষ যেন কোন প্রকার সমস্যায় না পড়ে।

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে এবং প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে করোনা কালীন সময়ে সারাদেশে বিভিন্ন এলাকায় রংধনু গ্রুপের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে রূপগঞ্জে ১ লাখ মানুষের জন্য খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদ, হিন্দুদের পূজা, নানা ধরনের অনুষ্ঠানসহ নানা ধরনের কাজে সব সময় সবার পাশে ছিলাম এবং থাকব। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ গরিবও অসহায়। যাদের অন্য হইলে বস্ত্র হয় না আর বস্ত্র হইলে অন্য হয় না এ ধরনের অসহায় মানুষের জন্য সবসময় সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমি যতটুকু পারি আমি ততটুক এ ধরনের মানুষকে সহযোগিতা করি এবং করব।
প্রতিবারের ন্যায় এবারও মাহে রমজান ও ঈদ উপলক্ষে রংধনু গ্রুপের পক্ষ থেকে গরুর মাংসসহ খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ চলমান থাকবে।

বিত্তবানদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের দেশে যারা বিত্তবান, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী রয়েছেন তারা এই মাহে রমজানে এসব দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, গরিব অসহায় মানুষের জন্য সবসময় কাজ করে রংধনু গ্রুপ। এবারও সে ধারাবাহিকতায় পুরো রমজানজুড়ে অসহায় মানুষকে ইফতার সামগ্রী দিয়ে সাহায়তা করা হচ্ছে। এসময় তিনি আরও বলেন, নাওড়াসহ রূপগঞ্জবাসীর প্রতি আমি অনেক সন্তুষ্ট। আমি কায়েতপাড়া বাসীর সুখে দুঃখে বিপদে-আপদে সবসময় ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।

খাদ্য সামগ্রী পাওয়া তাহারুন নাহার জানান, খাদ্যদ্রব্য দাম বেড়ে গেছে । আমরা অনেক কিছুই খেতে পারি না। এই অসময়ে আমাদের খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন রফিকুল ইসলাম রফিক। আল্লাহতালা তাকে অনেক বছর বাঁচিয়ে রাখুক।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং দুঃসময় মানুষের পাশে মানুষের জন্য দান খয়রাত করেছেন সেটা রূপগঞ্জের কোন জনপ্রতিনিধি কিংবা কোন শিল্পপতি করেননি। আমি তার মঙ্গল কামনা করি।

কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন মেম্বার বলেন, করোনাকালীন সময় রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম রফিক সারা রূপগঞ্জে ব্যপক ভুমিকা রেখেছেন। নিরীহ ও সাধারন মানুষকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া তার এ সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। শুধু তাই নয়, সিলেটে বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষকে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে রংধনু গ্রুপ। এছাড়া সারা দেশে কোন দুর্যোগ হলে রংধনু গ্রুপ সহযোগিতা করে থাকেন। রূপগঞ্জের সন্তান হিসেবে রফিকুল ইসলাম রফিকের জন্য এলাকাবাসী দোয়া করেন।

খাদ্য সামগ্রী নিতে আসা অহিদুল ইসলাম নামের ৬৫ বছরের বৃদ্ধ বলেন, কয়েকদিন পরপরই রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে খাবার পাই। এই খাবার আমার অনেক দিন চলে যায়। আল্লাহ তাগো মঙ্গল করুক।

খাদ্য সামগ্রী পাওয়া মনির হোসেন বলেন, রংধনু গ্রুপের মালিককে আল্লাহতালা আরো দেক। এই গ্রুপটি যাতে আরো বড় গ্রুপে পরিণত হয় সেই দোয়াই করি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজানুর রহমান মিজান, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল আউয়াল, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক করিম পাঠান, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, কায়েত পাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন মেম্বার, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি জোসনা মহিউদ্দিন, কায়েতপাড়া ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিনসহ আরো অনেকে।