অবিনাশ, তোমার জন্মদিনে : যুবক অনার্য

সেবার বৃষ্টি হলো খুব।এখনকার মতন তখন তো আর ‘রকমারি’ ছিলো না।বৃষ্টির জল মাড়িয়ে বাংলাবাজার গিয়ে ‘চার্বাক লেনে দ্বিভাষিক পায়ের ছাপ’ বইটি সংগ্রহ করি।সন্ধেবেলায় বই নিয়ে ৩৬ র‍্যাংকিন স্ট্রিট।

আন্টি দরোজা খুলে দিলেন।বসার ঘরে একটি মেয়ে বসে আছে।তার গায়ে গোলাপি শাড়ি।একটু পরে তুমি এসে পরিচয় করিয়ে দিলে-‘মনিষা,এ হলো দময়ন্তি।আমাদের নতুন বন্ধু।’ তোমার সংক্ষিপ্ত কথাচার আর ‘আমাদের’ শব্দটি নান্দনিক লেগেছিলো।

অল্প পরেই কেক কাটা হলো।তুমি প্রথমে আন্টিকে তারপর আমাকে এবং তারপর দময়ন্তিকে কেক খাইয়ে দিলে।আমরাও তোমাকে খাইয়ে দিয়েছিলাম।অতঃপর জীবন গড়িয়ে চলেছিলো জীবনের নিয়মে।

দেখতে দেখতে একটি বছর পেরিয়ে গেলো। তখন ‘রকমারি’ শুরু হয়ে গেছে।আমি ‘স্তব্ধতার বৈরি কররেখা’ বইটি অর্ডার করে রেখেছিলাম।বই নিয়ে ৩৬ র‍্যাংকিন স্ট্রিট।এবার দরোজা খুলে দিলো দময়ন্তি।দময়ন্তির সিঁথিতে সিঁদুর।একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন আমি চেপে গেলাম। কেক কাটা হলো। এবারও তুমি আগে আমাকেই খাইয়ে দিলে,তারপর দময়ন্তিকে।সেলিব্রেশন শেষে আন্টি আমাকে তার ঘরে নিয়ে এলেন।

বললেন- তোমাকে কিছু জানানোর সুযোগ হয়নি।সবকিছু হঠাৎ আচমকা ঘটে গেলো।দময়ন্তি কিছু না জানিয়ে আমাদের বাসায় চলে এসেছিলো।এসে সেকি সিনক্রিয়েট!অবিনাশকে না পেলে সে মরে যাবে ইত্যাদি।ওরা দু’জন দু’জনকে পাগলের মতো ভালোবাসে- তাই আমি আর আপত্তি করিনি।আমি আর মুহুর্তকালও দাঁড়াতে পারি নি।’

ঠিক আছে আন্টি,আমি যাই’ বোলে ছুটে বেরিয়ে এসেছিলাম।সারাটা পথ মনে মনে শুধু প্রশ্ন করেছিলাম- অবিনাশ,একজন পুরুষ একই সংগে কয়জন মনিষা আর কয়জন দময়ন্তিকে পাগলের মতো ভালোবাসে।

দময়ন্তির সংগে জড়িয়েছো- আমাকে বলে দিলেই হতো।আমি নিশ্চয়ই সরে যেতাম।লুকিয়ে যাবার মানেটা আমার বোধগম্য নয় এবং বোধগম্য নয় একই সময়ে মনিষা আর দময়ন্তিকে ‘পাগলের মতো ভালোবাসি’ বললে বস্তুত কা-কে ভালোবাসা হয়!

অবিনাশ
তোমার জন্মদিনে মনিষার মৃত্যু হয়েছিলো!

প্রকাশিত : সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?

ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন