জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে ছাত্রী কর্তৃক হয়রানির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সময় পরিক্রমায় বাংলাদেশে ঘটছে অনেক কিছুই। সমাজে যেমন মন্দ মানুষ আছে তেমনি আছেন ভালো মানুষও। তবে বর্তমান সময়ে মন্দ মানুষের পাশাপাশি কিছু ভালো মানুষও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সেই পরিক্রমায় এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে হয়রানি করতে ফেইসবুকের আশ্রয় নিলো এক ছাত্রী। ওই ছাত্রীর নাম প্রজ্ঞা পারমিতা সেমন্তি। যিনি কোনো প্রমাণাদি ছাড়াই ঢালাওভাবে একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্বিচারে ফেইসবুক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে বিষেদাগার করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, ওই শিক্ষকের নাম সাজু সাহা (৩২), পিতা- রাকেশ সাহা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাকেংটিং বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র, বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও গবেষণার কাজে কর্মরত আছেন।

আর প্রজ্ঞা পারমিতা সেমন্তি (২৭), পিতা সিরাজুল ইসলাম, মাতা হাবিবা আক্তার, মোল্লা পাড়া, রংপুর এর স্থায়ী বাসিন্দা। ওই ছাত্রী তার ফেইসবুক আইডি থেকে ২৪ মার্চ ২০২৪ তারিখে শিক্ষক সাজু সাহার নামে নানা কুৎসা রটায় ও মিথ্যা অপবাদ প্রচার করে। এছাড়াও একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ২৬ মার্চ ২০২৪ তারিখে তার নামে ‘এবার শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে জাবি শিক্ষার্থীর হয়রানির পোস্ট’ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হয়রানির উদ্দেশ্যে সংবাদ প্রকাশ করে এবং আরও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও গ্রুপে এসব বানানো গালগল্প পোস্ট করে তার সুনাম ক্ষুন্ন করে। এসব বিষয়গুলো তার নিকট মানসিক হুমকি হিসেবে শারীরিক, পারিবারিক শান্তি নষ্ট করছে।

তিনি জানান, ২৪ মার্চ ২০২৪ তারিখে ওই মেয়েটি একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে মিথ্যা ঘটনা প্রকাশ করে। যাতে তিনি সমাজে অসম্মানিত হন ও তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে সম্মানের সাথে চাকুরি করতে না পারেন এবং তিনি ভবিষ্যতে যাতে প্রমোশন না পান। এছাড়া যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আই. বি. এ. ইনস্টিটিউটে কোয়ালিফাই হওয়ায় ফাইনালি চাকুরি যাতে না হয় সেজন্য এসব মানহানিকর সংবাদ ও ফেইসবুকে নানারকম আপত্তিকর কথা প্রচার করে।

জানা যায়, এসব প্রচার করায় তাঁর ৫০ লাখ টাকার মানহানি হয়েছে বলে তিনি বিজ্ঞ এসএমএম আদালত নং ২৪ জনাব মোঃ আলী হায়দার এর আদালতে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ ব্যাপারে শিক্ষক সাজু সাহা আরো জানান, যে শিক্ষার্থী ২০২২ সালে বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করে চলে গিয়েছে, এতদিন না বিভাগ, না বিশ্ববিদ্যালয়ে কোথাও কোন অভিযোগ দেয়নি, এমনকি কোন জিডিও করেননি। তাহলে হঠাৎ এতবছর পর কোন হীন উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন লিখিত অভিযোগ না দিয়ে ফেসবুকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, মান-হানিকর ও হয়রানিমূলক বক্তব্য প্রচার করছেন? আমি ইতিমধ্যে এই ধরনের অপপ্রচার থেকে প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য স্যার, প্রক্টর মহোদয় ও বিভাগের সভাপতির কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি। আমি দেশের একজন সুনাগরিক হিসেবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর ও হয়রানিমূলক বক্তব্য প্রচার করার জন্য বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছি। সাইবার ক্রাইম ট্রাইবুনালের মান্যবর জজ সাহেব অনুপস্থিত থাকায় সাইবার ক্রাইম ট্রাইবুনালে আজ মামলা হয়নি। তবে আমি আগামীকাল সাইবার ক্রাইম ট্রাইবুনালে মামলা করবো এবং আমার আরও মামলাও প্রক্রিয়াধীন আছেন।

প্রকাশিত : সোমবার, ০১  এপ্রিল ২০২৪

স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?

ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

শেয়ার করুন