হাজীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ঈদ কেটেছে খোলা আকাশের নিচে

জহিরুল ইসলাম জয় :

আমরা কখনোই ভাবিনি এভাবে খোলা আকাশের নিচে পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ কাটাবো। বাপ দাদার ভিটা বাড়িতে তিলে তিলে গড়ে উঠা ঘর বাড়ী যে এক নিমেষেই যে ছাই হয়ে যাবে। আমরা অন্যের দেওয়া দানের দিকে তাকিয়ে থাকবো। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস এমন বাস্তবতা আজ আমাদের মেনে নিতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে এমন বাস্তবতার চিত্র দেখা যায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬ নং বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের সেন্দ্রা শেখ বাড়ীতে। ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে গত ৭ এপ্রিল সেন্দ্রা শেখ বাড়িতে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ১০টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতেই যেন তাদের ঈদের আনন্দ কান্নায় পরিনত হয়েছে।

আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো হচ্ছে হানিফ শেখ, শাহাদাত শেখ, আ. রব শেখ, কালু শেখ, জাকির শেখ, সাদ্দাম শেখ ও জসিম ও ছাত্তার শেখ।

এলাকাবাসী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সবাই দরিদ্র পরিবারের। ঈদের আগে আগুনে সব কেড়ে নিলো। এ পরিবারগুলোর প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা যায়।

খবর শুনে ইতিমধ্যে স্থানীয় সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, জেলা প্রশাক কামরুল হাসান, ইউএনও তাফস শীলস অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পরিজনকে খাদ্য ও নগদ টাকা প্রদান করেন এবং নতুন তৈরিতে সহযোগিতার আস্বস্ত করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পারভীন বেগম, আয়েশা বেগম, রওশনআরা বেগম, রাবেয়া ও শাহিদা
শাহাদাত হোসেন ও আ. রব শেখ বলেন, আমরা সবাই মধ্যবিত্ত পরিবার। আগুন লাগার সময় পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। নগদ টাকা, দলিল ও আসবাবপত্র সব চোখের সামনে পুড়ে গেছে। এবারের ঈদ কেটেছে খোলা আকাশের নিচে। আমরা সহসাই আমাদের ভিটা বাড়িতে নতুন বসত ঘরের স্বপ্নে বিবর। তাই আবারো জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন এবং সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চাই।

প্রকাশিত : সোম বার, ১৫  এপ্রিল ২০২৪

স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?

ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

শেয়ার করুন