আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
দিল্লিতে চলমান সহিংসতায় ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৭ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছে অন্তত ২০০ মানুষ। জাফরাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুনরায় হামলার আশঙ্কায় অনেক মুসলিম নাগরিককে গতকাল বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে দেখা গেছে।
২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে দিল্লির জাফরাবাদ, গোকুলপুর, কারওয়াল নগর, মৌজপুর, সিলমপুর, চাঁদবাগের মতো উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসা উপদ্রুত এলাকাগুলোতে চলছে আধাসামরিক বাহনীর টহল।
তবে কলকাতার আনন্দবাজার জানিয়েছে, জোহরাপুরী, ভজনপুরসহ কয়েকটি এলাকায় ছোটখাটো সংঘর্ষের খবরও শোনা গেছে। এ ছাড়া জাফরাবাদ, মৌজপুর ও খাজুরিখাসে অনেক মুসলমান বাসিন্দাকে এলাকা ছাড়তে দেখা গেছে বলে আনন্দবাজার জানায়।
তবে বিপরীত চিত্রও আছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, সহিংসতা চলাকালে অনেক মুসলিমকে আশ্রয় দিয়েছে প্রতিবেশী হিন্দুরা।
অন্যদিকে যেসব হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতাদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের (হেট স্পিচ) জন্য দিল্লিতে এ সহিংসতা ছড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রকে এক মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর আগের দিন বুধবার সহিংসতা থামাতে না পারায় পুলিশের সমালোচনা করার পর বিচারপতি এস মুরালিধরকে বদলি করা হয়েছে।
এরমধ্যে গতকাল দিল্লির এক কিশোরীর নিখোঁজ হওয়ার খবর প্রকাশ হয়েছে। সোমবার সহিংসতার দ্বিতীয় দিন সোনিয়া নামের অষ্টম শ্রেণির ওই কিশোরী খাজুরিখাস এলাকায় স্কুলে গিয়েছিল। পরে আর তাকে পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক মার্কিন কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ) এক বিবৃতিতে সংস্থাটির চেয়ারপারসন টোনি পারকিন্স বলেন, ‘দিল্লিতে যে হিংসা চলছে, যেভাবে মুসলিমদের ওপর হামলা এবং তাদের বাড়ি, দোকান ও ধর্মীয় স্থান জ্বালিয়ে দেওয়ার খবর আসছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগের।’ বিবৃতিতে হিংসা বন্ধ করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এ বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার টুইটারে বলেন, ‘ইউএসসিআইআরএফের অভিযোগ একেবারেই সঠিক নয়, বরং বিভ্রান্তিমূলক। এই বিবৃতিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সূত্র : এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার, বর্তমান পত্রিকা।