বগুড়ায় প্রতিপক্ষের অস্ত্রের আঘাতে যুবলীগ নেতা খুনের ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিউজ ডেস্ক :
বগুড়ায় প্রতিপক্ষের অস্ত্রের আঘাতে যুবলীগ নেতা খুনের ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত ফিরোজ শেখের স্ত্রী সুমি আকতার বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে সদর থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ ও ৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বগুড়া জেলা শহরের জহুরুল নগর এলাকার মাহী ছাত্রাবাসে শহর যুবলীগের ৪নং ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ শেখসহ (৩২) কয়েকজন গল্প করছিলেন। এ সময় ১৫-২০ জনের একদল যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে উপর্যুপুরি আঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ফিরোজ মারা যান। এছাড়া মশিউর রহমান (২৮) ও ইমরান (২৭) নামের দুই যুবলীগকর্মী আহত হন।

আহতরা জানিয়েছেন, তাদের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের একটি পুকুর দখল নিয়ে বিরোধ চলছিল।

বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে জড়িতদের গ্রেফতার করতে।

বগুড়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু জানান, নিহত ফিরোজ ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেয়ার দাবি জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের সঙ্গে বিরোধ হওয়ায় সহযোগীরাই তাকে খুন করেছে। চকসুত্রাপুর চাপড় পাড়ার ফজলার রহমানের ছেলে ফিরোজ শেখ এলাকায় টোকাই হিসেবে পরিচিত ছিলেন। একসময় ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পাশাপাশি স্থানীয় যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে রাজনৈতিক মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিতেন। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, চকসুত্রাপুর ও জহুরুল নগর এলাকায় মাদক ব্যবসা ও আজিজুল হক কলেজের আশপাশে বিভিন্ন ছাত্রাবাস নিয়ন্ত্রণ করতেন ফিরোজ। সম্প্রতি মাদক ব্যবসা নিয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে বিরোধ হয় ফিরোজের। আর এ কারণেই ফিরোজকে খুন করে তারই এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা।