চাঁদপুরে বাড়ছে করোনায় মৃত্যু, নেই পরীক্ষাগার

 

নিউজ ডেস্ক :
চাঁদপুরে করোনা ভাইরাস উপসর্গ নিয়ে আরও তিন জন মারা গেছেন। শুক্রবার (৫ জুন) সকালে জেলার হাজীগঞ্জে একজন, সদরে আরেকজন এবং মতলব দক্ষিণে আরেকজন মারা গেছেন।

শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ২৫৮ জনের দেহে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।

গত কয়েকদিনে প্রতিদিনই দু’তিনজন করে নানা বয়সী মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছেন। ফলে জেলার সর্বত্র এখন করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা গেছে, জেলা পর্যায়ে সারাদেশের মধ্যে চাঁদপুরেই করোনায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি।

এমন পরিস্থিতিতে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মকিমাবাদ সর্দার বাড়িতে মারা যান আব্দুল আউয়াল (৪৮)। ৪ দিন আগে সর্দি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন তিনি। বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তার। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় মারা যান আব্দুল আউয়াল।

চাঁদপুর জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মানিকুর রহমান জানান, আব্দুল আউয়াল হাজীগঞ্জ পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন। চাঁদপুর সদরের রামপুর ইউনিয়নের বড়সুন্দর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির বৃদ্ধ মাহবুবুল হকও (৬০) সর্দি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যান।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন জানান, মাহবুবুল হক নামের এ বৃদ্ধ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী গ্রামে আব্দুল কুদ্দুস (৫৫) নামে আরেকজন মারা যান।

চাঁদপুরে করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, মৃতদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

দেশের অন্য কোনো জেলার চেয়ে চাঁদপুরে করোনায় মৃত্যুর হার অনেক বেশি। তারপরও এখানে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্তে পিসিআর ল্যাব কিংবা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে আইসিইউ স্থাপনের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুরের বাইরের জেলায় করোনায় আক্রান্ত বেশি হলেও সেখানে মৃত্যুর হার কম। তারপরও ওই সব বিভাগীয় শহর ও জেলায় রোগ নির্ণয়ের জন্য পিসিআর ল্যাব এবং আক্রান্ত রোগীর জীবন বাঁচাতে আইসিইউ স্থাপন করা হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে চাঁদপুরের মানুষজনকে করোনার ছোবল থেকে বাঁচাতে জরুরিভিত্তিতে এখন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে স্থানীয় সুশীল সমাজ এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে দাবি জানিয়েছেন।