প্রেমিকাকে বিয়ের জন্য বিদ্যুতের উঁচু টাওয়ারে প্রেমিক

উপজেলা প্রতিনিধি সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) :

প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে আত্মহত্যার জন্য বিদ্যুতের উঁচু টাওয়ারে অবস্থান নিয়েছিলেন বিপ্লব নামে এক যুবক। পরে প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে দেয়ার শর্তে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর তাকে অক্ষত অবস্থায় নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা। শনিবার (২০ জুন) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক হাজার পাওয়ারের বিদ্যুতের ওই টাওয়ারে উঠে অবস্থান নেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৬নং ওয়ার্ডের আদমজী বিহারী (অবাঙ্গালী) ক্যাম্পের বাসিন্দা বিপ্লব। পাশেই দড়ি বেঁধে ফাঁসি দেয়ার প্রস্তুতি নেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা, পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা অনেক অনুরোধ করেও বিপ্লবকে নিচে নামাতে পারছিলেন না। বিভিন্ন শর্তে প্রায় দুই ঘণ্টা পর বিহারী ক্যাম্পের মেম্বার ভোলা ওরফে ভোলা মেম্বারের কথায় তিনি কিছুটা নিচে নেমে আসেন। এ সময় আশপাশের লোকজনের চিৎকার এবং তাকে নিচে নামাতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এগিয়ে গেলে বিপ্লব আবার ওপরে উঠতে থাকেন।

এর কিছুক্ষণ পর তার ভাই ফায়ার সার্ভিসের হ্যান্ড মাইকে কথা বললে পুনরায় তিনি কিছুটা নিচে নেমে আসেন। অপর প্রান্ত দিয়ে স্থানীয় দুইজন ওপরে উঠে তাকে ধরে ফেললে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাকে অক্ষত অবস্থায় নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হন।

আদমজী ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহজাহান বলেন, ওই যুবক বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ৬৫-৭০ ফুট ওপরে উঠে যান। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা বিভিন্ন উপায়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তাকে নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হই।

বিপ্লবের বাবা জানান, তার ছেলে মাদকাসক্ত। প্রায়ই মাদকের টাকার জন্য ঘরে হুমকিমূলক অনেক ঘটনা ঘটায়। বেশ কয়েকদিন যাবৎ একই ক্যাম্পের এক মেয়েকে বিয়ে করতে পরিবারের অনুমতি চায় বিপ্লব। কিন্তু পরিবার এতে সম্মতি না দেয়ায় সে এ ঘটনার জন্ম দিয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি প্রায় ৬৫-৭০ ফুট ওপরে উঠে ওই যুবক অবস্থান নিয়েছেন। পরে অনেক অনুরোধ করে তাকে নিচে নামিয়ে আনা হয়।