আমাদের অবশ্য পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা উচিত

সম্পাদকীয়

আমরা সকলেই চাই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে। কেননা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা আমরা পছন্দ করি ও ভালোবাসি। কিন্তু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার মতো সুস্থ মানসিকতা আমাদের মধ্যে নেই বলা চলে। যেমন-যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা, কলা খেয়ে কলার খোসা মন যেখানে চায় সেখানে ফেলা, চিপস খেয়ে যেখানে সেখানে প্যাকেট ফেলে দেয়া, বাদাম খেয়ে যেখানে সেখানে ফেলে দেয়া-ইত্যাদি অভ্যাসগুলো আমরা বন্ধ করতে পারছি না। সত্যিই আমাদের চেতনার বড়ই অভাব। এমনকি বিশেষ বিশেষ স্থানগুলোতে ডাস্টবিন থাকলেও আমরা তার ব্যবহার করতে জানি না।

প্রিয় সময়ে ‘ময়লা ফেলার পাত্র যখন ময়লার স্তুপে’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটির মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম দুঃখজনক পরিবেশ পরিস্থিতির কথা। ডাস্টবিন হলো মানুষের ময়লা ফেলার একটি জায়গায়। কিন্তু ডাস্টবিন যেখানে থাকার কথা সেখানে না থেকে ময়লার মধ্যে ডাস্টবিন অসহায়ের মতো পড়ে আছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, দেখার মতো কেউ নেই। প্রশ্ন হলো, যদি ডাস্টবিন এভাবে পড়ে থাকে তাহলে মানুষজন কোথায় ময়লা আবর্জন ফেলবে?

চাঁদপুর রেলওয়ে কোট স্টেশনই নয় পুরো শহরকেই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার জন্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকতে হবে। সেই সাথে জনগণকেও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সহযোগিতা করতে হবে। অবশ্য মানুষ যদি একটু সচেতন হয় তাহলে এভাবে অপরিস্কার ও নোংরার মধ্যে আমরা বসবাস করি না। অপরিস্কার ও নোংরায় যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর হয় তেমনি আমাদের মনও প্রশান্তিতে থাকে না।

কিছু মানুষ আছে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জন ফেলে দেয়। এটা তাদের অভ্যাসের জন্যে হয়। ভালো অভ্যাস তাদের মধ্যে নেই বলেই এমনটি হয়ে থাকে। বলা যায়, শিক্ষিত অশিক্ষিত সকলেরই একই রকম অভ্যাস। অবশ্য একটু সচেতন হলেই এ ধরনের নোংরা অভ্যাস ত্যাগ করে ভালো অভ্যাস হতে পারে। আর এজন্যে আরো বেশি করে মানুষকে সচেতন করার প্রচার চালাতে হবে।

আমরা প্রকাশি সংবাদের মাধ্যমে জেনেছি যে, ‘চাঁদপুর রেলওয়ে কোট স্টেশন কর্তৃপক্ষ কয়েকদিন সেগুলোকে প্লাটফর্মের বিভিন্নস্থানে দাঁড়ি করিয়ে রাখলেও তারপর আর সেগুলোর কোন রক্ষনাবেক্ষনের খবর রাখেননি।’ এতে মনে হচ্ছে, এসব পরিস্থিতি দেখার মতো কোনো লোক নেই। যদি না থাকে তাহলে এসব দেখাশোনার জন্যে লোক রাখা উচিত। আর যদি থাকে তাহলে বুঝতে হবে, তারা কাজে ফাঁকি দিচ্ছে; তাদের কাজের তদারকি করা দরকার বলে মনে করছি।

আমরা জেনেছি যে, ডাস্টবিনগুলো নির্দিষ্ট স্থানে না রেখে সেগুলো ময়লার মধ্যেই ফেলে রাখা হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্যে কোনো লোকই সেখানে রাখা নেই। অথচ চাঁদপুর রেলওয়ে কোট স্টেশনে বিভিন্ন পদে লোক বল নিয়োগ থাকলেও সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ এবং দেখার যেনো কেউ নেই। আমরা এমনটি মোটেও আশা করি না। ঐ পদে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরা যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে না বলে বোঝা যাচ্ছে, কিন্তু কেনো?

প্রকাশিত : ২৯ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ০৯ মুহররম ১৪৪২ হিজরি, শনিবার