কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণ, প্রেমিকসহ কারাগারে ৪

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার শোভারামপুর গ্রামের এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় প্রেমিক সামিউল বাছিরসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী বুড়িচং থানায় চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ শোভারামপুর নোয়াপাড়া গ্রামের ১৭ বছরের কিশোরীকে গত ১২ অক্টোবর সকালে পাশের দয়ারামপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে সামিউল বাছির (১৮) তার বন্ধু হৃদয়সহ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নিয়ে যায়। পরে তাকে নিয়ে কুমিল্লা সদর উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর ইউনিয়নের আড়াইওরা গ্রামের ভাড়া বাসায় আটকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে।

পরে গত ১৭ অক্টোবর বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাছির তাকে নিজ গ্রাম দয়ারামপুরে নিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে মেয়ের বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজন সেখানে ছুটে যান। একপর্যায়ে বাছিরের পরিবারের কাছে মেয়ের খবর জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে বাছিরের মা লিপি আক্তার (৩৫) প্রকাশ শিপনসহ অন্যান্য সদস্যরা ওই কিশোরীকে মারধরসহ মাথার সামনের অংশের চুল কেটে দেয়। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের লাঞ্ছিত করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। রাতেই এ ঘটনায় কিশোরী বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় বাছির ও তার বন্ধুদের নামে মামলা করেন।

আশ্রয়দাতা বরুড়া উপজেলার মুখশিপুর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে হৃদয় (২৪), দয়ারামপুর গ্রামের মো. রানা (২৮) ও বাছিরের মা লিপি আক্তারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে সে।

পরে শনিবার গভীর রাতে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক পিপিএমের নেতৃত্বে দেবপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ আজিজুল বারী, এসআই এনামুল হক, এসআই সুজয় কুমার মজুমদার, এএসআই জহিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে মামলার ৪ আসামিকে গ্রেফতার করে। রোববার তাদের আদালতে পাঠালে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।

আমরা খবরের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, সঠিক সংবাদ পরিবেশনই আমাদের বৈশিষ্ট্য

১৯ অক্টোবর ২০২০ খ্রি. ০৩ কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪২ হিজরি, সোমবার