সমাজকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে হেরোইন নামক মরণব্যাধি! ধ্বংসের দিকে যুব সমাজ

সম্পাদকীয়

আমাদের সমাজকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে হেরোইন নামক মরণব্যাধি! এর সাথে জড়িত হয়ে পড়ছে অসহায় ও দরিদ্র পরিবারগুলো। শুধু তাই নয়, পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে রাঘব বোয়াল ধনী ব্যক্তিরা। তারা কোটি টাকা পুঁজি খাটিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে ও নিজেদের জন্যে টাকার পাহাড় গড়ছে। এদিকে দরিদ্র পরিবারের নারী পুরুষ বা যুব সমাজ আইনের জালে বন্দী হয়ে জেল খাটছে ও ধ্বংস হচ্ছে। অন্যদিকে হেরোইন যারা সেবন করে তারাও ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে।

নেশা দ্রব্য হেরোইনে মানুষের নৈতিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্য থেকে হিতাহিত জ্ঞান লোপ পাচ্ছে। ফলে নেশাখোরদের দ্বারা সমাজে ঘটে যাচ্ছে বিভিন্ন রকমের অসামাজিক কর্মকাণ্ড ! সমাজ ধীরে ধীরে নষ্টের দিকে চলে যাচ্ছে। সেই সাথে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। তাছাড়া নেশার টাকা জোগাড় করতে পরিবারগুলোতে অশান্তি বিরাজ করছে এবং বিভিন্ন রকমের অপ্রিিতকর ঘটনা ঘটে চলেছে।

প্রিয় সময়ে ‘রূপগঞ্জ কোটি টাকা মূল্যের হেরোইন উদ্ধার : আটক ২’ শিরোনামে প্রকাশি সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি লোমহর্ষক ঘটনার কথা। একটি বড় অঙ্কের হেরোইন উদ্ধার হওয়া স্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, ‘নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের আমলাব (কাঞ্চন রোড) এলাকার মেসার্স মুন্সি ষ্টোরের সামনে থেকে রাজশাহী-নারায়ণগঞ্জগামী একটি ট্রাক তল্লাশী করে ১ কেজি ৭৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয় এবং এসময় ২ জন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো ১। মোঃ জিয়ারুল (৩৬) ও ২। মোঃ জনি আহম্মেদ (২০)।

উক্ত অভিযানে হেরোইন পরিবহনের দায়ে ১টি ট্রাক ও ১৩ টন বস্তায় ভর্তি মেলামাইন পারী জব্দ করা হয়।’ অবশ্য তারা গ্রেফতার হয়েছে, আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সঠিক বিচার করা সহজ হবে বলে মনে করছি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সঠিক তথ্য বেড়িয়ে আসবে। বেড়িয়ে আসবে তাদের সাথে আরো কারা কারা জড়িত রয়েছে। কেননা কোটি টাকার হেরোইনের অর্থের জোগান দেয়া অন্তত এই দুই জনের পক্ষে খুবই কষ্টের ব্যাপার।

এদের সাথে বড় কোনো জোগানদাতা বা মদদ দেয়ার মতো লোক হয়তো রয়েছে। যেহেতু আইনের হাতে তারা ধরা পড়েছে সেহেতু তাদের মাধ্যমে সাপ গর্ত থেকে বের করা আনা সহজ হবে বলে মনে করছি। কেননা সংবাদ মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, ‘‘তারা দীর্ঘদিন ধরে ট্রাকযোগে পণ্য পরিবহনের আড়ালে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য হেরোইন পাচারের কাজ করতো।’ গোপন তথ্যের ভিত্তিতেই তাদেরকে হেরোইনসহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সংবাদের প্রেক্ষিতে আমরা আরো একটা তথ্য জানতে পেরেছি যে, তারা স্বীকার করে জানিয়েছে ট্রাক চালানো তাদের একটি ছদ্মবেশ মাত্র। সুতরাং এতে এটা অনুমান করা যায় যে, তাদের মতো আরো কেউ কেউ এমন ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারে। অর্থাৎ কোটি কোটি টাকার হেরোইন পাচারের সাথে জড়িত থাকতে পারে। যেহেতু তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পণ্য পরিবহনের ছদ্মবেশে নিষিদ্ধ হেরোইন নিয়ে বিক্রয় ও সরবরাহ করে যেহেতু তাদের মতো আরো কেউ কেউ জড়িত রয়েছে বলে মনে করছি। অতএব, এ বিষয়েও প্রশাসনকে আরো জোড়ালো তৎপরতা চালাতে হবে।