‘সবাই খুলছে, তাই আমিও খুলেছি’

মো.মজিবুর রহমান রনি :
করোনা মহামারিতে সারা পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশও যখন বিস্তার এবং মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হতে থাকে তখন ৬ষ্ঠ বারের মত সরকার লকডাউনের ঘোষণা দেয়। কঠোর লকডাউন পালনে ২০ টি নির্দেশনা দিয়ে জারি হয় প্রজ্ঞাপন। প্রশাসনও নেয় কঠোর অবস্থান। তারই দ্বারা বাহিকতায় সরকারি এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জেও চলছে কঠোর লকডাউন।

এই কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে প্রথম দিন থেকেই হাজীগঞ্জ উপজেলা ও থানা প্রশাসনও নিয়েছেন কঠোর অবস্থান। বাজারের প্রবেশ দ্বারের বিভিন্ন পয়েন্টে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। রিক্সা ছাড়া অন্য কোন যানবাহন এলাউ করা হচ্ছে না, বাড়ির থেকে বেরিয়ে আসাদের করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ।এভাবেই চলছে আজ ৫ম দিনও।

সরেজমিনে গুরে দেখা যায় বাজারের প্রবেশপথে পুলিশ কঠোর অবস্থানের পরেও বাজারের মানুষের সমাগম চোখে পড়ার মত। প্রত্যেকটি মার্কেটই প্রায় অর্ধেক শাটার খুলে বসে আছে দোকানীরা চলছে কেনাবেছা। প্রশাসনের আগমন টের পেলেই দ্রুত বন্ধ করে সরে যায় অন্যত্র, প্রশাসন চলে গেলেই আবারও যেই সেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানীকে লকডাউনের কথা স্মরণ করে দিলে তিনি বলেন, সবাই খুলছে তাই আমিও খুলেছি, সবাই যদি একসাথে বন্ধ রাখে তাহলে আমারও কোন আপত্তি নেই আমিও বন্ধ করে বাসায় থাকবো। তবে সকল দোকান বন্ধ নিশ্চিত করতে হবে।

আরেক আগন্তুক বলেন, বাজারের দোকানপাট খোলা আছে বিধায় আমি এসেছি যদি কোন দোকান খোলা না থাকতো তাহলে আর আসতাম না। কিভাবে আসছেন জানতে চাইলে বলে অটোরিকশা করে পুলিশ চেকপোস্ট পর্যন্ত এসেছি তারপর কয়েক পা হেটে আবারও রিকশায় চড়ে বিশ্বরোড পর্যন্ত এসেছি তারপর সেখানে আবার পুলিশ চেকপোস্টে নেমে পায়ে হেটে চলে আসছি। আর যাওয়ার সময়তো তেমন কোনও সমস্যা নেই, সিএনজি পেয়ে যাব। এভাবেই চলছে হাজীগঞ্জের কঠোর লকডাউনের ৫ম দিন।