ফরিদগঞ্জ জিসি-রূপসা জিসি সড়কে কাজের ধীরগতি, যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি

মোঃ মহিউদ্দিন, ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :
ফরিদগঞ্জ জিসি- রুপসাজিসি সড়কটি দির্ঘ কয়েক বছর বেহাল থাকার পর গত বেশ ক‘দফা টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অবশেষে কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স শাহিন এন্ড ব্রাদার্স ও কনটেমপোরারী ।

সড়কের ৫ হাজার ৭শত ৪০ মিটার পুর্নবাসন কাজের ৮ কোটি ৬৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা চুক্তি মূল্যে কাজটির কার্যাদেশ পায় মেসার্স শাহিন এন্ড ব্রাদার্স ও কনটেমপোরারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান । সড়কটির কাজ উদ্ধোধন করেছেন, ১২ আগষ্ট ২০২০ইং সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান । কাজ শুরু থেকে কাজের ধীরগতি হওয়ায় বছর জুড়ে কাদা- পানিতে অন্তহিন সমস্যা যাতায়াত করতে হচ্ছে মানুষজন ও যানবাহনকে ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে।

ওঁই পথে যাতায়াতকারীদের মধ্যে মশিউর রহমান, রুবেল, শিবলী সাদিক. জাহিদ হোসেন , হোসেন আহম্মদ, মোস্তফা কামালসহ অনেকেই জানন, দির্ঘদিন ভোগান্তির র্প কাজ শুরুর পর এখন ভোগান্তির মাত্রা অঅরোও বেড়েছে কাজের ধীর গতির কারণে। ঠিকাদারকে বারবার তাগিদ দিয়েও কাজে গতি আনয়ন করা যায়নি। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার যানবাহন ঝুঁকি মধ্যে চলছে , যেকোন মূহুর্তে বড় ধরণের দূঘর্টনা ঘটতে পার। একই ঠিকাদারের অপর একটি কাজের হাল একই অবস্থা বিরাজমান থাকতে দেখা গেছে। পুর্বসুবিদপুর–বাসারা সড়কটি ৪ হাজার ৬শত মিটার। চুক্তিমূল্য ৮ কোটি ২ লাখ টাকা। এ সড়কের কাজ ওঁই একই ঠিকাদার একই কায়দায় ফেলে রেখে জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে। কার্যাদেশ মোতাবেক কাজটি শুরু হয়েছে ৫ এপ্রিল/২০২০ইং আর শেষ করার কথা ১১নভেম্বর ২০২১ইং এ ।

ওই সড়কে যাতায়াতকারীরা জানায়, আমাদের সড়কের কাজ শুরুর পর তেমন বেশী দূর এগোয়নি। মাটির কিছু কাজ করে কাজটি ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে আমরা নিধারুণ দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। কাদা-পানিতে সয়লাব হয়ে পায়ে হেঁটে পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারছিনা। কাজের এমন ধীর গতি ও কাজ না করে ফেলে রাখার দেখবাল করার কেউ নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার দাবী জানান।

এ বিষয়ে, কাজের ঠিকাদার আমির আজম রেজা জানান, বর্ষার কারণে ঢালাই কাজ এখনই করা সম্ভব নহে। তবে সড়কের বেডের কাজ সম্পন্ন করেছি। আশা করছি আগামী ২/৩ মাসের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করা যাবে। এখন আর সাধারণের চলাচলে কোন দুর্ভোগ নেই।

এ বিষয়ে কাজ তদারকীর দায়িত্ব প্রাপ্ত এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আয়ূব থাঁন কাজের ধীরগতির কথা স্বীকার করে বলেন, কার্যাদেশ মোতাবেক কাজটি শেষ করার কথা আগামী নভেম্বর ২০২১ইং। কাজ চলমান রয়েছে তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা হয়তো সম্ভব হবে না। কাজের গুনগত মান রক্ষায় সাধ্যমত চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এ এস এম রাশেদুর রহমান জানান, একাদিকবার ঠিকাদারকে তাগাদা চিঠি দিয়ে সড়কের বেডের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন রুপসা বাজারে আরসিসি ঢালাই শেষে আশা করা যায় আগামী দু‘মাসের মধ্যে পিছ ঢালাই সম্পন্ন করা যাবে।