নিরীহ অটোরিকশাচালকরা কি পারবে এতো টাকা ব্যয়ে লাইসেন্স নিতে?

মোঃ মহিউদ্দিন, ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ (খ) শ্রেণির পৌরসভায় সোমবার লাইসেন্সের জন্য অর্ধশত অটোরিকশা অর্ধবেলা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে।

সকালে উপজেলা সদর পৌর বাজার থেকে অটোরিকশা গুলো কর্মকর্তা/কর্মচারীরা আটকে রেখেছে। এতে নিরীহ অটোরিকশাচালকরা কোনভাবেই এতো টাকা প্রদানে সম্মত না হওয়ায় তাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নামায় জোরপূর্বক সহি স্বাক্ষর করে রাখে।

এ বিষয়ে অটোরিকশা চালক (মীরপুর ) এলাকার মো. বিল্লাল হোসেন জানায়, আমি ত্রিশ টাকার ভাড়া নিয়ে বাজারে আসার পর পৌরসভার কর্মকর্তা /কর্মচারীরা জোরপূর্বক আমাদের অটোরিকশাগুলো পৌরসভার মাঠে জড়ো করে রাখে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। আমি বাড়িতে পরিবারের জন্য চাল-ডাল কিছুই নিতে পারিনি। এতো টাকা দিয়ে লাইসেন্স করে আমরা কোনওভাবেই দু‘বেলা দু‘মুঠো ভাত জোগাড় করতে পারব না।

এ বিষয়ে কেরোয়া এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অটোরিকশা চালক জানায়, আমরা এত টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য লাইসেন্সে করে পরিবারের মুখে দু‘মুঠো ভাত জোগাড় করবো কি করে ? আমরা নিরূপায় হয়ে পড়েছি। কোনভাবেই ১৪ হাজার ৪ শত টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের কারণে।

এ বিষয়ে পৌরসভার অফিস সূত্র জানায়, আমরা আপাততঃ ৫শ’ অটোরিকশাকে লাইসেন্সের আওতায় আনছি। কয়েক হাজার অটোরিকশা পৌরসভায় চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম সোমবার সন্ধ্যার পর প্রিয় সময়কে জানান, আমার ছেলের ১৪টি অটোরিকশা রয়েছে। আমি এ বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এ বিষয়ে আমি এমপি মহোদয়কে অবহিত করেছি। ওনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী জানান, আপনি অফিসে এসে কথা বলুন। মুঠোফোনে এভাবে কথা বলতে তিনি নারাজ।

এ বিষয়ে পৌরসভার সচিব একেএম মো. খোরশেদ আলম জানান, পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক লাইওসেন্স ফি ১৪ হাজার ৪ শত টাকা নির্ধারণপূর্বক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আরো পড়ুন : শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায়

আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ

আরো পড়ুন : পাইলস রোগে করণীয়

আরো পড়ুন : জেনে নিন দীর্ঘক্ষণ মিলনের ঔষধ

আরো পড়ুন : একজিমা হলে কী করবেন?