ভোলায় ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ, বাঁধ ভাঙ্গা খুশিতে জেলেরা

তাপস কুমার মজুমদার, ভোলা প্রতিনিধি  :
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশের দেখা পাওয়ায় খুশি জেলেরা। ইলিশ ধরা আর মোকামে চালান করা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

তবে আকাল কাটিয়ে যখন ইলিশে মাছঘাটগুলো ভরে উঠতে শুরু করেছে তখন মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞার খবরে জেলে পল্লীতে হতাশা বিরাজ করছে। ইলিশের অভায়াশ্রমে অভিযানের সময় নির্ধারণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মৎস্যজীবীরা।

আষাঢ় মাস থেকে মেঘনা-তেতুলিয়া নদীতে ইলিশের মৌসুম শুরু হলেও এবারের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। চলতি মৌসুমের প্রথম ৩ মাস জেলেরা কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পায়নি। এ দীর্ঘ সময়ে ইলিশের আশায় নদীতে গিয়ে আয়ের পরিবর্তে বেড়েছে মহাজনের দাদনের পরিমাণ।

তবে সম্প্রতি ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরাপড়ায় খুশি তারা। দলে দলে জেলেরা ইলিশের ট্রলার বোঝাই করে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছেন। কেনাবেচায় সরগরম ঘাটগুলো। তবে শেষ মৌসুমে ধরা ইলিশে ধার-দেনা পরিশোধ ও ব্যবসায়ীদের পুঁজি হারানোর শঙ্কা কিছুটা কমলেও হতাশা কাটছে না আগামী ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া মা ইলিশ রক্ষা অভিযানকে ঘিরে।

ধনিয়া ইউনিয়নের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. রাসেল মিয়া বলেন, প্রথমে কাঙ্ক্ষিত মাছ পাওয়া যাচ্ছিল না। এতে আমরা আড়তদার ও জেলেরা অনেক সমস্যায় ছিল। দীর্ঘদিন পর এখন ভালো ইলিশ পাচ্ছেন জেলেরা। কিন্তু আগামী মাসে আবারও ইলিশ রক্ষার অভিযান, তাই একটু চিন্তা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোলার সদরের ইলিশা, রাজাপুর, ধনিয়া তুলাতুলি, নাছির মাঝি, শিবপুরের ভোলার খাল, কাচিয়ার কাঠির মাথা এলাকার মেঘনা নদীতে জেলেরা আনন্দ নিয়ে দলবেঁধে মাছ শিকার করছেন। মাছ ধরে ঘাটে বিক্রি করা এ নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা।

ধনিয়া ইউনিয়নের জেলে আমির মাঝি বলেন, দীর্ঘদিন নদীতে কাঙ্ক্ষিত মাছ পাইনি। এ মাসের ৭ তারিখ আমাবস্যার সময় থেকে নদীতে আমরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পেতে শুরু করেছি। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ আমাদের আরও সময় দেন। কারণ ইলিশের ডিম পাড়তে অনেক দেরি। ইলিশ রক্ষার অভিযানের সময় আরও পিছিয়ে দেয়ার অনুরোধ করছি। তা না হলে আমরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়ব।

মা ইলিশ রক্ষার অভিযানের সময় এগিয়ে আনায় জেলেদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে উল্লেখ করে সময় নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৎস্যজীবী সমিতির নেতা মো. এরশাদ ফরাজি।

আর আড়তদাররা বলছেন, দীর্ঘদিন নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ার কারণে অনেক লোকসান গুনতে হয়েছিল আড়তদার ও জেলেদের। তবে কয়েকদিন পর আবারও ইলিশ রক্ষার অভিযান শুরু হচ্ছে, এই অল্প সময়ের মধ্যে লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারব না।

আর দেরিতে হলেও নদীতে ইলিশের দেখা মেলায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি জেলেদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আশাবাদী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম।

চলতি বছর জেলায় ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন। মৌসুমের প্রথম তিন মাসে ধরা পড়েছে ৩৮ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইলিশ।

আরো পড়ুন : শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায়

আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ

আরো পড়ুন : পাইলস রোগে করণীয়

আরো পড়ুন : জেনে নিন দীর্ঘক্ষণ মিলনের ঔষধ

আরো পড়ুন : একজিমা হলে কী করবেন?