নবাবগঞ্জে ইছামতী নদীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মাকসুমুল মুকিম. দোহার -নবাবগন্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার নবাবগঞ্জে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেওতলা নবারুণ সংঘের আয়োজনে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১লা অক্টোবর ( শুক্রবার) বিকেলে নবাবগন্জ উপজেলার ইছামতী নদীতে এ নৌকা বাইচ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান।

সালমান এফ রহমান বলেছেন, আমরা মহামারী কাটিয়েছি। এই মহামারী কাটিয়ে আবার অর্থনীতির চাকা সচল হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে করোনাকালেও দেশের উন্নয়ন অব্যাহত ছিল। আমাদের দোহার নবাবগঞ্জে ও উন্নয়ন হয়েছে।

নৌকা বাইচ উপলক্ষে ইছামতী নদীর দুইধারে ছিল হাজারো মানুষের মিলনমেলা। বাইচ কে কেন্দ্র করে বসেছে গ্রামীন মেলা। দীর্ঘদিন পর এমন নৌকা বাইচ দেখে খুশি হয়েছেন সাধারণ দর্শনার্থী। সাধারণ দর্শনার্থীরা আয়োজক কমিটি কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ইঞ্জিনচালিত বোট, স্পিট বোট এবং পানসি নৌকা নিয়ে ও নদীতে ছিল মানুষের উপস্থিতি। কোনো কোনো নৌকায় উচ্চ শব্দে বাজছিল গান। বাইচে আগত দর্শনার্থীরা ঢোল, তবলা নিয়ে নেচে গেয়ে এক বর্নিল পরিবেশ সৃষ্টি করে এলাকাজুড়ে। দর্শকের টান টান উত্তেজনার মধ্যেই বাইচের নৌকার মাঝিরা হাঁক দিলেন হেঁইয়ো রে হেঁইয়ো। দর্শকদের হর্ষধ্বনি আর হাততালি বাড়তি উৎসাহ জোগায় নৌকাগুলোকে।

প্রধান অতিথি সালমান এফ রহমান এদিন নৌকায় চড়ে নৌকা বাইচ উপভোগ করেন এবং দর্শকদের সাথে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।জানা যায়, যুগযুগ ধরে এ অঞ্চলে বাংলা সনের ভাদ্র মাসে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। করোনার কারণে দু’বছর পর এবার আর্ষিন মাসে এ নৌকা বাইচ আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবছর ইছামতি নদীতে কমপক্ষে ৮/১০ টি স্থানে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এ নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়। নৌকা বাইচে অংশগ্রহণ করে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর, সিংগাইর এবং ঢাকার নবাবগঞ্জের আকর্ষণীয় বিভিন্ন ধরনের বাইচের নৌকা।নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় খান বাড়ি, শেখ আব্দুল খালেক, কালচান রকেট, জয়বাংলা, হাতনীর রাজ ও উড়িয়া বাজসহ ১০ নৌকা অংশগ্রহণ করেন। বাইচে খান বাড়ি নৌকা চ্যাম্পিয়ন হয়ে (মোটর সাইকেল ) ও শেখ আব্দুল খালেক রানার্স আপ হয়ে (ফ্রিজ)পুরস্কৃত করা হয়েছে।

দেওতলা নবারুন সংঘের সভাপতি মাসুদ মোল্লা বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা নৌকাবাইচের আয়োজন করতাম। তবে করোনার কারনে গতবার আয়োজন করতে পারি নাই। আশা করি এখন থেকে নিয়মিতভাবে প্রতিবছর নৌকাবাইচের আয়োজন করতে পারব।

নৌকা বাইচ ঐহিত্য রক্ষা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিম মোল্লা বলেন, নৌকা বাইচ আমাদের বাঙালির ঐতিহ্য। এটা যাতে হারিয়ে না যায় আমরা কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। ইছামতির পদ্মার অভিমুখে যদি স্লুইচ গেট নির্মাণ করা হলে ইছামতি নদীতে পানির সমস্যা দূর হত। তবেই আরো কয়েকস্থানে নৌকা বাইচের আয়োজন করা সম্ভব হত।

দেওতলা নবারুন সংঘের সভাপতি মাসুদ মোল্লার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন ও নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ ঝিলু।

আরও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান কিসমত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালালউদ্দিন সহ আরো অনেকে। এর আগে বিকেল ৩টায় এমপি কোমরগঞ্জ এবিএম ফিলিং ষ্টেশন এর নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন ও পরে নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়কে চলাচলের জন্য নবকলি বাস সার্ভিস পরিবহন উদ্বোধন করেন সাংসদ সালমান এফ রহমান।

আরো পড়ুন : শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায়

আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ

আরো পড়ুন : পাইলস রোগে করণীয়

আরো পড়ুন : জেনে নিন দীর্ঘক্ষণ মিলনের ঔষধ

আরো পড়ুন : একজিমা হলে কী করবেন?