খালেদার হঠাৎ জেগে ওঠা নিয়ে আতঙ্কে বিএনপির নেতৃবৃন্দ!

নিউজ ডেস্ক :  বিএনপি যখন নতুন করে আন্দোলন শুরু করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, ঠিক সেই সময় খালেদা জিয়ার মুখ খোলার গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দুটি দুর্নীতির মামলা দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়ার ১৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। এই প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়ার পরিবারের অনুরোধে সরকারের অনুকূল্যে খালেদা জিয়া ৪ দফায় ২ বছরের জামিনে আছেন।

আর এই জামিন বাতিল করার জন্যই বিএনপির একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে বলে খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করেন। এ কারণেই খালেদা জিয়া বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখতে পারেন, এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে বিএনপিতে।

আরো পড়ুন : অশ্ব বা পাইলস এর কারণ ও প্রতিকার

বিএনপির একজন নেতা বলছেন, সরকারের ভেতর থেকে এক ধরনের চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে যাতে খালেদা জিয়া বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন। খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের দাবি, সরকারের সাথে সমঝোতার ভিত্তিতেই সরকার দয়াপরবশ হয়ে তাদের নেত্রীকে জামিন দিয়েছে। অথচ বিএনপির কিছু নেতা এমনভাবে উসকানিমূলক কথাবার্তা বলছে যাতে শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল হয়ে যায়।

আরো পড়ুন : শ্বেতির সাদা দাগ দূর করার সহজ কিছু উপায়

ফৌজদারি কার্যবিধি ৪২১ ধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়ার জামিন দিয়েছেন সরকার। এই জামিন সরকার চাইলে যে কোনো সময় বাতিল করতে পারে। জামিন পাওয়ার পর থেকেই খালেদা জিয়া নীরবতা অবলম্বন করছেন। দলীয় নেতাদের মতে, খালেদা জিয়া এখন যে অবস্থায় আছেন তাতে তিনি সন্তুষ্ট। সরকারের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে খালেদা জিয়া মুক্ত আছেন।

প্রথম দফা জামিনের আগে তার ছোটভাই শামীম এস্কান্দার গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। এ কারণেই খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা এই অবস্থায় বিএনপি যেন বড় ধরনের কোনো আন্দোলনের কর্মসূচি না হয় সে ব্যাপারে বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

এ নিয়ে খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিএনপি নেতৃবৃন্দের কয়েক দফা কথা হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আরো পড়ুন : জেনে নিন যৌন রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

বিশেষ করে শামীম এস্কান্দার লন্ডনে তার ভাগিনা তারেক রহমানের সাথে কথা বলেছেন। এখনই বড় ধরণের আন্দোলন করে খালেদা জিয়ার মুক্ত জীবনকে বিপদগ্রস্ত না করার জন্য শামীম এস্কান্দার অনুরোধ জানিয়েছেন বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

তবে এরপরও যদি বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের উসকানিমূলক আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে তাহলে সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়া অবস্থান নিতে পারেন বলেও বিভিন্ন সূত্র আভাস পাওয়া গেছে। এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে খালেদা জিয়া বিএনপির চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন। জামিনের শর্ত অনুযায়ী তার বক্তব্য দেয়ার ওপর কোনো বিধি-নিষেধ নাই।

এখন খালেদা জিয়া যদিও তার জামিন রক্ষার জন্য সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেন, তাহলে সেটিই বিশ্বাসযোগ্য হবে। কারণ, খালেদা জিয়ার ইমেজ এবং জনপ্রিয়তা বিএনপির যে কোনো নেতার চেয়ে অনেক বেশি। এমনকি তারেক রহমানের চেয়েও বহুগুণ বেশি।

আরো পড়ুন : অ্যালার্জি দূর করবে ৫টি খাবার

এই প্রেক্ষাপটে বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন আতঙ্কে আছে। দলের কোনো কোনো নেতার মতে, সরকার হয়তো খালেদা জিয়াকে তাদের ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারে এবং তাকে দিয়ে সরকারের পক্ষে বক্তব্য বিবৃতি আদায় করে নিতে পারে। কারণ, খালেদা জিয়া এখন এমন অবস্থায় আছেন, তাতে মুক্ত জীবন দীর্ঘায়িত করার জন্য তিনি সব কিছু করতে রাজি হবেন।বাংলাইনসাইডার।

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ

আরো পড়ুন : গেজ, অশ্ব,পাইলসের সহজ চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়ার হোমিও চিকিৎসা