অপরাধে বড় নেতারও ছাড় নেই : নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার

মো. সোহেল কিরণ, নিজস্ব প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেছেন, ‘অনেকে আশংকা করেছেন ভোট দিতে পারবেন কিনা! তাদের উদ্দেশ্যে দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, শতভাগ নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন হবে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। আমি বিগত ২২ মাস ধরে এখানে কর্মরত আছি। কেউ বলতে পারবেন না যে কোনো ঘটনায় আমি কাউকে ছাড় দিয়েছি। অপরাধ করলে ছাড় পারবেন না, সে যত বড় নেতাই হোক। আমি মনে করি আইনের কাছে কোনো বড় নেতা নেই। এতদিন যা করেছেন তা ভুলে যান। আজকে থেকে সুন্দরভাবে ভোট চান মানুষের কাছে যান। আর যদি অশান্তিতে থাকতে চান এবং জেলের ভাত খেতে চান তাহলে আপনারা অনিয়ম করেন।’

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকালে বন্দর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

এসপি বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র আছে বলে নির্বাচনে এত প্রার্থী। যদি গণতন্ত্র না থাকতো তাহলে এত প্রার্থী হত না। আমাদের মাঝে কিছু কিছু সমস্যা রয়েছে তা পরিহার করা অসম্ভব বলে আমি মনে করি না। আজকে যেভাবে আপনারা একসাথে বসেছেন ঠিক আগামীতেও আপনাদের একসাথে থাকতে হবে। একই গ্রাম এবং একই মহল্লার লোক আপনারা, হয়ত ১১ তারিখ সবাই মিলে একজন নেতৃত্ব ঠিক করবেন। ভোট বেশি বা কম পাবেন কিন্তু আপনাদের একসাথে থাকতে হবে। এমন কাজ করবেন না যাতে একজন আরেকজনের মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘আপনি নেতা হিসেবে দাড়িয়েছেন, আপনি নেতৃত্ব দিতে চাচ্ছেন। নেতার কাজ হলো তার সমর্থন তথা জনগণকে শান্তিতে রাখা। আর নেতা যদি অশান্তিতে রাখে তাহলে আমি মনে করি সে কোনো নেতা না। একজনের শোভাযোত্রায় আরেকজনের বাধা দেয়ার কিছু নাই। একজনের পোস্টার আরেকজন ছিড়েন, এটা কোনো ভালো কাজ হতে পারে না। আমি কথাগুলো খুব ঠান্ডাভাবেই বললাম। যদি আপনারা এ কাজটা করেন তখন আমার একথাগুলো উল্টো হয়ে যাবে। আপনার সাথে আমি নির্বাচনের আনন্দ উপভোগ করতে চাই। আপনি যদি আমাকে সে আনন্দ উপভোগ করতে না দিয়ে আমাকে অশান্তিতে রাখেন তাহলে আপনি যে শান্তিতে থাকবেন সেটা কল্পনাও করতে পারবেন না। আপনি যদি এক সমস্যা সৃষ্টি করেন তাহলে আপনাকে আমি দেখাতে চাই, কত সমস্যা আপনার উপরে আসবে তা আপনি কল্পনা করতে পারবেন না। এখানে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছেন যদি নির্বাচনকালীন সময়ে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে তাদের ঘুম হারাম করে দেয়ার সে নির্দেশ দিতে আমি এখানে এসেছি। আপনার কারণে আমার এবং সাধারণ মানুষের ঘুম নষ্ট হবে আর নেতারা আরামে ঘুরে বেড়াবে সেটা হতে দিবো না।’

এ সময় বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম কুদরত-এ-খুদার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা নির্বাচন অফিসার মতিয়ুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা তুজ জোহরা, বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা প্রমুখ।

আরো পড়ুন : শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায়

আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ

আরো পড়ুন : পাইলস রোগে করণীয়

আরো পড়ুন : জেনে নিন দীর্ঘক্ষণ মিলনের ঔষধ

আরো পড়ুন : একজিমা হলে কী করবেন?