হাজীগঞ্জে পৈত্রিক সম্পত্তিতে ভবন নির্মাণে প্রতিপক্ষের দু’দফায় হামলার অভিযোগে আদালতে মামলা

মো.মজিবুর রহমান রনি:

হাজীগঞ্জে পৈত্রিক সম্পত্তির উপর ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষ দু’দফায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর, নির্মাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

তাদের দফায় দফায় অতর্কিত হামলা নারী-পুরুষ গুরুতর হয়েছে। আহতদের মধ্য ৫ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও গুরুতর ১জন চাঁদপুর সদর হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ঘটনাটি উপজেলার ৬নং বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের দিগচাইল গ্রামের আটিয়া বাড়িতে ঘটেছে।

জানা যায়, ঘটনার প্রথম দিন সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৭ টায় ওই বাড়ির গোলাম কিবরিয়া ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপর একই বাড়ির মৃত আবুল হাসেম তালুকদারের ছেলে হারুন রশিদ, তার ছেলে শাখাওয়াত হোসেন, মৃত ফজলুল হকের ছেলে খলিলুর রহমান, আবুল কালামের ছেলে ফখরুল ইসলাম, মজিবুল হকের ছেলে রাশেদ আটিয়া, তার ভাই দুলাল, মৃত নূর আহমেদের ছেলে আবুল কালাম, আবুল বাশারের ছেলে শরীফসহ ২০/২৫ জনের একটি সঙ্গবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

তারা হামলা চালিয়েও ক্ষ্যান্ত না হয়ে মরিচের গুড়া পানি মিশ্রিত করে চোঁখে নিক্ষেপ করে। প্রতিপক্ষ হারুন গংদের হামলা ৬ জন আহত হয়। আহতরা হলেন, গোলাম কিবরিয়া (৬২), তার স্ত্রী আইনুন নাহার (৫০), ছেলে আলআমিন (৩২), ফয়সাল আটিয়া (২৭), মারুফ আটিয়া (২৩) ও কাজের ঠিকাদার সাফায়েত মুন্সী (৩৮)। উপরেল্লেখিত ঘটনার দিন হামলাকারীরা গোলাম কিবরিয়ার পুরাতন বসতঘরে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং নির্মাণ সামগ্রীর বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

ওই সময় প্রতিপক্ষের লোকজন গোলাম কিবরিয়ার বসতঘরে প্রবেশ করে আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ৩ লাখ টাকা নিয়ে যায়। পরে আত্মরক্ষার্থে ৯৯৯ ফোন দিলে হাজীগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এ এসআই) মজির ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে এবং আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।

এ ঘটনার দিনেই গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মারুফ আটিয়া বাদী হয়ে ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে হাজীগঞ্জ থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এ এসআই মজির আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে থাকেন। থানা অভিযােগ দেওয়া বাদীর পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর দেড় টায় কাজের ঠিকাদার সাফায়েত মুন্সীকে গোলাম কিবরিয়ার বসতঘরের সম্মূখে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালায়।

ওই সময় হামলাকারী অভিযুক্ত শাখাওয়াত হোসেন ঠিকাদার সাফায়েত এর হাতে ও মাথা দা’দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হামলাকীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মারুফ আটিয়া বাদী হয়ে চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১১ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।

আদালত বাদীর মামলাটি হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে এফআইআর করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। ভুক্তভোগী মারুফ আটিয়া বলেন, হাবিবুর রহমানের মেয়ে তাছলিমা বেগম বাদী হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১১৩৮/২১। আদালত আমাদের সম্পত্তির সকল কাগজপত্র দেখে সন্তুষ্ট হয়ে তাদের মামলাটি গত ১৭ অক্টোবর নতিজাত করে দেয়। এর পরের দিনই একে একে দুইবার আমাদের উপর তারা হামলা করে। এখন আমরা থানা প্রশাসন ও আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি।

আরো পড়ুন : শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায়

আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ

আরো পড়ুন : পাইলস রোগে করণীয়

আরো পড়ুন : জেনে নিন দীর্ঘক্ষণ মিলনের ঔষধ

আরো পড়ুন : একজিমা হলে কী করবেন?