হাজীগঞ্জে আ’লীগ ও নৌকা নিয়ে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে কটুক্তির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি:
হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও নৌকা প্রতীককে নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগ উঠেছে এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি রামচন্দ্রপুর ভূইয়া একাডেমীর খন্ডকালীন শিক্ষক ফারুক মাস্টার। প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানা তিনি উল্টো অভিযোগ দায়ের করেন। এতে অভিযুক্ত করা হয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা মনির হোসেন গাজী ও সহ-সভাপতি এমরান হোসেন খন্দকার।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকালে রামচন্দ্রপুর বাজারের শ্রী কৃষ্ণের মিষ্টি দোকানের সম্মুখে স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতাকে দেখতে পেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও নৌকা প্রতীক নিয়ে স্কুল শিক্ষক ফারুক মাস্টার বিভিন্ন ধরনের কটুক্তিমূলক কথা উচ্চস্বরে বলে থাকেন। তার কটুক্তিমুলক কথার প্রতিবাদ করেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন গাজী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এমরান হোসেন খন্দকারসহ আরো অনেকে।

এ নিয়ে স্থানীয় নেতাদের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। এতে কোন ধরনের হাতাহাতি বা মারধরের ঘটনায় ঘটেনি। কটুক্তির বিষয়টি যখন আওয়ামিলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে যাওয়া এটি ধামাচাপা দিতে তাকে মারধরের নাটক সাজিয়ে তিনি কিছুক্ষণের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরে তিনি ফটোসেশান এর কাজ শেষ করে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।

রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, তার ভর্তিকৃত বেডে বিকেল থেকে অন্য এক শিশু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালের অন্যান্য কোন বেডেই দেখা পাওয়া যায়নি এই অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষকের।

তিনি যে বেডটি ভর্তি দেখিয়েছেন তার সাথের বেড এর রোগী জানান, উনি সর্বোচ্চ ১০ মিনিট ছিলেন। এই কয়েক মিনিটে ফটোসেশান এবং ফোন করে তিনি হাসপাতালে অনেক লোক জড়ো করেন। নার্স এসে উনাকে স্যালাইন পুশ করলে ১/২ ফোটাও মনে হয় শরীরের ভেতর যায়নি। পরে তিনি স্যালাইনটি খুলে হাসপাতাল থেকে চলে যান।

প্রত্যাক্ষদর্শী রামচন্দ্রপুর বাজারের মিষ্টির দোকানের মালিক (ঘটনার স্থান) শ্রী কৃষ্ণ বলেন, ফারুক মাস্টার আওয়ামীলীগ এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে কটুক্তি করেন। তার কটুক্তির প্রতিবাদ করেন চেয়ারম্যান ও এমরান খন্দকার। এক পর্যায়ে তাদের মধ্য কথা কাটাকাটি হয়। মারধরের ঘটনাটি সম্পূন্ন মিথ্যা কথা।

থানা লিখিত অভিযোগের ১নং স্বাক্ষী শাহহাজ উদ্দিন বলেন, মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। সে সংগঠন এবং নৌকা মার্কা নিয়ে কটুক্তি করেন। তার কটুক্তির প্রতিবাদ করেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা মনির হোসেন গাজীসহ আরো অনেকে। এমন মিথ্যা কথা ও থানা মিথ্যা অভিযোগের নিন্দা জানাই।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এমরান হোসেন খন্দকার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাকির পাটওয়ারী ও সদস্য হেলাল গাজী বলেন, আওয়ামিলীগ একটি সর্ববৃহৎ সংগঠন এবং জাতীয় প্রতীক নৌকা। সংগঠন ও নৌকা প্রতীক নিয়ে ফারুক মাস্টার কটুক্তি করায় চেয়ারম্যান তাকে ডাক দিয়ে কথা বলেন। ওই সময় তার সাথে চেয়ারম্যানসহ কয়েকজনের কথা কাটাকাটি হয়। মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। এখন সে আমাদের কয়েকজনের নামে মিথ্যা কথা উপস্থাপন করে থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা মনির হোসেন গাজী বলেন, তার পরিবারের সবাই বিএনপি-জামায়াতের সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাকে কেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটিতে রাখিনি, এ জন্য সে সংগঠন এবং নৌকা প্রতীককে কটুক্তি করেন। আমি এর প্রতিবাদ করি। আমিসহ কয়েকজনের সাথে তার কথাকাটি হয়। কিন্ত মাস্টার ফারুক মিথ্যা কথা রটিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউনুছ শনিবার (৬ নভেম্বর) সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে লিখিত অভিযোগের স্বাক্ষী ও প্রত্যাক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেন।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়