চট্টগ্রামে ৬ বছর পর অভিনব কৌশলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক :

প্রথমে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামির ভাইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব। আস্থা অর্জন করে আসামির মোবাইল নম্বর সংগ্রহ তার সঙ্গেও সখ্যতা। দুই মাসের অভিযানে এভাবেই ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ইসহাককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইসাহাককে আটকের পর গাড়িতে তুলে নিচ্ছে র‌্যাব সদস্যরা। এর মাধ্যমে আসামির সঙ্গে ছদ্মবেশী র‌্যাব সদস্যদের সঙ্গে পাতানো বন্ধুত্বের সমাপ্তি ঘটল।

দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকলেও, শেষ পর্যন্ত হাটহাজারীতে ছোট ভাইয়ের বিয়েতে এসেছিল ইসাহাক। আর এই সূত্র ধরেই তাকে গ্রেফতারে এগিয়েছিল র‌্যাবের বিশেষ টিম।

চট্টগ্রাম হাটহাজারীর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মাহফুজুর রহমান বলেন, নিজেদের সম্পূর্ণ আড়াল করে তার সঙ্গে দুই মাস সম্পর্ক চালিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের। তারপরে আমরা নিশ্চিত হয়েছি সে আসছিল বিয়েতে।

২০১৬ সালের ৫ মার্চ ১২ বছরের সন্তানের সামনেই তার মা পারভিন আক্তারকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছিলো ৪ জন। এরপর থেকে মায়ের হত্যাকারীর বিচারের অপেক্ষায় সন্তান। আদালত চারজনকেই হত্যার জন্য মৃত্যুদণ্ড এবং ধর্ষণের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেও ঘটনার পর থেকে ৩ জন ছিল পলাতক।

নিহতের সন্তান নূর মোহাম্মদ সাঈদ বলেন, আমার সামনে আমার আম্মুকে মারছে আমি তাদের বিচার চাই।

র‌্যাবের হাতে আটক হওয়া ইসাহাকসহ আরো ৩ মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিকে গত ৬ বছরের বেশি সময় ধরে খুঁজছিল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে ঘটনার পরপরই পরিচয় গোপন করে ওমান পালিয়ে যাওয়ায় তার আর হদিস মেলেনি। এর মাঝে দেশে ফিরে আত্মগোপনে চলে যায়। অন্তত ১৭ বার মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে সে।

অধিনায়ক, র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এম এ ইউসুফ বলেন, তাকে বের করতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। যেহেতু তার কোনো ঠিকানা ছিল না আমাদের কাছে আর তার মোবাইল নাম্বার দিয়েও তাকে খোঁজার চেষ্টা করি। পরে তার কাছে আমরা ১৭টি সিম উদ্ধার করেছিলাম।

র‌্যাব জানায়, মূলত ইয়াছিন নামে এক যুবক টাকা আত্মসাতের প্রতিশোধ নিতেই পারভীন আকতারকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গ্রেফতার ইসাহাকসহ বাকি তিনজন ছিল ভাড়াটিয়া খুনি।