জন্ম-মৃত্যু সনদ নিবন্ধন কার্যক্রম নিশ্চিতকরণের উদ্বোধন করলেন ঢাকা জেলা প্রশাসক

মাকসুমুল মুকিম, দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা)

ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, জনগণের জীবন মান উন্নয়নের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। তাই জনগণের স্বার্থ যদি তারা না দেখে তবে তারা তাদের দায়িত্ব হারিয়ে ফেলবে। সবার আগে জনগণের জন্য কাজ করতে হবে।

গত রবিবার সকালে ঢাকার নবাবগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আব্দুল ওয়াছেক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু সনদ নিবন্ধন কার্যক্রম নিশ্চিতকরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

সভাপতিত্ব করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এইচএম সালাউদ্দীন মনজু।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক বলেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ অনুযায়ী জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। জন্ম ও মৃত্যু সনদ এখন সব জায়গায় লাগে। কাজেই এ সব কাজ গুলো খুব ভাল ভাবে শেষ করতে হবে। জন্ম ও মৃত্যু সনদ বিষয়ে দেশের প্রতিটি উপজেলার ১০টি দপ্তর ও অন্যান্য সংস্থাসহ ১৬ সদস্যের একটি টাক্সফোর্স গঠন করেছে সরকার। এ বিষয়ে আপনাদের ভালভাবে খোঁজ খবর নিতে হবে এবং জানতে হবে। একজন জনপ্রতিনিধি যেন বছর শেষে বলতে পারেন আপনার ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডে কতজন জন্ম নিয়েছে এবং মৃত্যু বরণ করেছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, আশা করি আপনারা খুব অল্প সময়ের মধ্যে শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু সনদ নিবন্ধন কার্যক্রম নিশ্চিত করতে পারবেন। ঢাকা জেলার মধ্যে যেন আপনাদের উপজেলা মডেল হিসেবে গণ্য করা হয় সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক জন্ম ও মৃত্যু সনদ নিবন্ধন রেজিষ্টার বহি ইউপি চেয়ারম্যানদের হাতে তোলে দেন।

পরে বেলা ১১টায় পরিষদের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত নারী ও শিশু উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম।

উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি অরুন কৃষ্ণ পাল এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার ঢাকা জেলা উপরিচালক মো. আবু জাফর রিপন, নবাবগঞ্জ উপজেলান পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু।

এছাড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে করোনা পরবর্তী শিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক মতবিনিময় ও দিনব্যাপী উপজেলার আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন ও পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক বিকেলে সরকারি নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ড কাপ অনুর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্ণামেন্ট ফাইনাল খেলা উদ্বোধন করেন।