পদ্মা সেতু উদ্বোধন, খুশি কুয়াকাটার পর্যটন ব্যাবসায়ীরা

জাকারিয়া জাহিদ,কুয়াকাটা প্রতিনিধি :

২৫শে জুন শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।এই খুশিতে আনন্দের জোয়ার বইছে কুয়াকাটায় পর্যটন ব্যাবসায়ীদের মাঝে।ঢাকা থেকে সড়কপথে কুয়াকাটায় চলাচলে এতোদিন ছিলো বেশ চ্যালেঞ্জিং ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হতো ফেরিঘাটে।তবে, সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে ফেরি বিহীন ৫থেকে ৬ ঘন্টার মধ্যে ঢাকায় থেকে কুয়াকাটা চলে আসা যাবে।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ঘোষনায় খুশির ছোঁয়া দেখা গেছে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের মাঝে, ইতিমধ্যেই সাজিয়ে নিচ্ছে আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, রাখাইন মহিলা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, বার্মিজ আচার, কাঁকড়া ফ্রাই, পর্যটকদের ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত ক্যামেরাম্যান, চটপটি ফুচকার দোকান এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। দর্শনীয় স্থানগুলো পর্যটকদের ভ্রমণ করতে প্রস্তুত, মোটরসাইকেল ড্রাইভার, অটোরিকশা চালক, কুয়াকাটা থেকে সমুদ্রপথে বিভিন্ন দ্বীপ ও বণাঞ্চল ভ্রমণ করানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ট্যুরিস্ট বোট, স্পীড বোট এবং ওয়াটার বাইক । সকল ক্ষেত্রেই দেখা গেছে পদ্মা সেতু ঘিরে খুশির আমেজ।

কুয়াকাটা হানিফ এন্টারপ্রাইজ কাউন্টার পরিচালক মনির শরীফ বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ি নিয়ে সড়কে বসে থাকতে হবে না। প্রতিদিন একাধিক ট্রিপ দেয়ার সুযোগ হবে বলে মনে করছেন তারা। এবং সড়কপথে ফেরির কথা ভেবে যাত্রীরা কম চলাচল করত, আমরা এখন আশাবাদী ঢাকা থেকে কুয়াকাটা ৯০ শতাংশ যাত্রী সড়কপথে চলাচল করবে ।কারণ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই ঢাকা টু কুয়াকাটা এর ভিতর কোন ফেরি থাকছে না।
হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলম হাওলাদার জানান, পর্যটন কেন্দ্রের নতুন সম্ভাবনা আমাদের পদ্মা সেতু। এই সেতুর দরজা খোলার সাথে সাথে খুলে যাবে পর্যটন শিল্প কুয়াকাটার কপাল। সেই দিকে নজর দিচ্ছি আমরা হোটেল মালিকরা।

কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো: আনোয়ার হাওলাদার বলেন,এই সেতুটি আমাদের দক্ষিণ অঞ্চলের বিশেষ করে কুয়াকাটা জন্য বড় একটি উপহার দিয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করছেন তারই কন্যা। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার সাথে সাথে প্রচুর পরিমাণ পর্যটকের আগমন ঘটবে আমাদের কুয়াকাটায়। আমরা চেস্টা করছি পৌরসভাকে পরিকল্পিত ভাবে ঢেলে সাজাতে।

পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান জানালেন, পদ্মাসেতু চালু হলে পাল্টাবে আর্থসামাজিক অবস্থার। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান। আধুনিক হয়ে উঠবে সাগরকন্যা কুয়াকাটা। ফেরির জন্য আর কাউকে অপেক্ষা করতে হবে না ঘণ্টা পর ঘন্টা।ঢাকা থেকে ফেরিবিহীন ৫ ঘন্টায় কুয়াকাটায় পৌছাবে পর্যটকরা। কুয়াকাটা হবে একটি আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র।