যুবক অনার্য :
এইসব লেখাগুলো বদলে দাও।হোমার বা বাল্মিকি ছেনে নিয়ে শুরু করো অথবা ব্যক্ত করো ৫ হাজার বছর পরের কথা।যে ভাষা মুদ্রিত করছ এখানে ওখানে সেখানে এইভাবে নতুবা ওইভাবে এগুলো বড়জোর এক সাময়িক বিলোড়ন এবং ইতিহাস এরকম পরাজিত আত্মার কথা প্রকাশ করেছে সে তো নতুন কিছু নয়- বহু কাল আর নৈরব্যক্তিক রেখামালা টেনে ।
প্রতিটি বস্তুর চংক্রমণ পদ্ধতি তাহাদের নিজস্ব ভঙিমায় প্রোজ্জ্বলিত,পদার্থের ধর্ম বিশ্লেষণ এখানে মৌলিক প্রস্তাবনা নয়।প্রতিটি কলমকেও জেনে নিতে হবে,হবে চিনে নিতে সময়ের লুকোনো আওয়াজ, মহাপুরুষ না হোক অন্তত একজন শব্দখোদাইকারির মতো করে নিজেকে নিয়ে যেতে হবে ধংসের কিনারায় যেখানে আমিত্ব বলে কিছু বিচরনশীল নয়।
তারপর এক মহান রক্ত ক্ষরণ যেভাবে দান্তে সার্ভান্তেস লা রোস ফুকো লোর্কা এইভাবে আরো কতোশত।পরিক্রমার অন্ত নেই- সবচে কাছের খুঁটিটি সময় মতো দূরে তাই সকল খুঁটিকে দুরবর্তী বিস্তৃতি নিয়ে সমাদৃত করো।আমাদের মৌলিক হেঁসেলের কথা ভুলে গেছি এরকম কিন্তু নয়- যেমন এইতো দ্যাখো প্রমানিত সংবেদ- আজ যা বলতে চাও কেউ তা বলেনি,বলবে না কোনোদিন,কোনো কৌশলকৃত দামামাবাজী নয়- চিরায়ত পদ্ধতি চিরদিন অভিন্ন রয়ে গেছে- তোমাকে গাইতে হবে গান যা কেবল তোমার কণ্ঠ নালী চিরে বের হয়ে আসে,অন্য কারো নয়,আর কারো নয়। তখন কেবলি তখন তুমি শিল্পিত মিছিল হবে, রয়ে যাবে কাল থেকে কালে।