ফরিদগঞ্জে ২৩টি ইটভাটা অনুমোদন বিহীন চলছে

মোঃ মহিউদ্দিন, ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ফসলি জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অনুমোদন বিহীন ২৩টি ইটভাটা। এ সকল ভাটায় জ¦ালানি হিসাবে পুড়ছে কাঠ। ফলে জমির উর্বরতা হারানোর পাশাপশি ফসল নষ্ট হওয়াসহ শিক্ষার্থীরা রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের উপর বিরোপ প্রভাব ফেলছে।

ডাকাতিয়া নদীর পাণি দূষণ হচ্ছে। গণস্বাক্ষরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও অনুমোদন বিহীন ইটভাটা বন্ধ করা যাচ্ছেনা।

উপজেলায় ২৫টি ইটভাটার মধ্যে মাত্র ১টির অনুমোদন রয়েছে।বাকীগুলো অনুমোদন ছাড়াই চলছে অর্ধশতাব্দি যাবত।

ভাটাগুলো হচ্ছে, ইউএনবি, এমএসবি, এমএন্ডবি, বাগপুর ব্রিক্স, কেবিএফ, একতা ব্রিক্স, জেবিএম, নাফিসা, এমআইবি, বিজেকে, টিএনবি, এমএমবি, মশিউর ব্রিক্স, শাহ আলম ব্রিক্স ফিল্ড ।

গল্লাক ডিগ্রী কলেজের উত্তর পাশে রয়েছে একাধিক ইটভাটা যা থেকে পরিবেশ দূষণসহ শিক্ষার্থীরা রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। মুন্সীর হাট আলিম মাদ্রাসার ভবন ঘেঁষে পূর্ব পাশে গড়ে তুলা হয়েছে ইট ভাটা আর পশ্চিম পাশের্^ ভবন ঘেঁষে রাখা হয়েছে বালির স্তুপ। গোয়াল ভাওর হাই স্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই ইটভাটা যা পরিবেশে দূষণ করাসহ গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষায় সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে, তাই নিয়ম অমান্য করলে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। পরিবেশ আইন অনুযায়ী ফসলি জমির পাশে ইটভাটা স্থাপনের কোনো বিধান নেই। একই সাথে সর্বসাধারণের স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করে ভাটা চালাতে হবে।

বছরের পর বছর অবৈধভাবে ফিল্ডগুলো চলতে থাকলেও প্রশাসন কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নেয়নি। কালেভদ্রে মোবাই কোর্ট দিয়ে কিছু জরিমান করেই দায়িত্ব পালন চলছে। তবে শীর্ষ প্রশাসনসহ মাঠ প্রশাসনের সাথে সমজোতা করেই চলানোর সত্যতা পাওয়া যায়। প্রশাসনের জাতীয় বিভিন্ন দিবস পালনে আর্থিক সহযোগীতা নেওয়ার সত্যতাও পাওয়া গেছে। তবে ফিল্ড মালিকরা এ বিষয়ে মূখ খুলতে নারাজ।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমুননেছা জানান, অবৈধ ইটভাটাগুলোর তালিকা জেলা প্রশাসনের দপ্তরে পাঠানোর পাশাপাশি অচিরেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

চাঁদপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ হান্নান জানান, অনুমোদন বিহীন ইটভাটার বিরোদ্ধে কোন ছাড় নয়। ইট তৈরির সিজন মাত্র শুরু হয়েছে। অচিরেই অনুমোদন বিহীন ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।