সেই যাত্রীছাউনী

ক্ষুদীরাম দাস

অসহায়ভাবে টিকে আছে যাত্রীছাউনীটি
ওখানে আর কেউ প্রতীক্ষা করে না কোনো যাত্রী।
সিমেন্ট খসে খয়ে খয়ে পড়ছে ইটগুলো
আসছে বর্ষা মৌসুম ঝড় বৃষ্টির দিনে ভাঙ্গবে যাত্রীছাউনী
অথচ কারো ‘দুশ্চিন্তা’র লেশমাত্র নেই।

অভাব পড়েছে, অভাব পড়েছে
মায়ার অভাব, চেতনার অভাব জরাজীর্ণ
অর্থের অভাব নয়; বিবেকের অভাব।
আট পা ওয়ালা অ্যারাকনিড শ্রেণীর সন্ধিপদ ‘মাকড়সা’
জাল তৈরি করে। সাথে অন্যান্য কীট-পতঙ্গ!

আর আমি বসতে
অথবা দু’পায়ে দাঁড়াতে পারবো না সেই যাত্রীছাউনীতে।
কেউ পারবে না, কেউ পারবে না; আমি পারি না।