ফরিদগঞ্জে সর্বত্র নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব

মোঃ মহিউদ্দিন, ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের সর্বত্র নিষিদ্ধ পলিথিনে ও প্লাস্টিক বোতলে সয়লাব হয়ে পড়েছে। কোনওভাবেই পলিথিনের ব্যবহার কমছে না। দিন দিন বেড়েই চলছে।

ফলে পরিবেশ দূষণ ও ফসল উৎপাদন কমে যাওয়াসহ ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ, জর, কাশি-সর্দি, লিভার সমস্যার মতো রোগ দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকর কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় পলিথিনের ব্যবহার বেসামাল হয়ে পড়েছে।

উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪২টি বাজারসহ অসংখ্য চা-স্টল রয়েছে। এ বাজারগুলোর প্রতিটি দোকানেই পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারেই চলছে পণ্য বেচা-বিক্রি।

এ সকল পলিব্যাগগুলো যত্রযত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখার ফলে ড্রেনগুলোর পানি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ার পাশাপাশি কৃষিজমিগুলোতে গিয়ে পড়ছে পলিব্যাগগুলোসহ প্লাস্টিকের বোতল।

তাছাড়া খোদ পৌরসভায়ই নেই অধিকাংশ স্পটে ডাস্টবিন আর দু‘চারটি যেগুলো রয়েছে তা থেকেও ময়লা-আবর্জনা সরানো হয়নি। ফলে পৌরসভায় অসংখ্য স্থান ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়ে পড়েছে।

পৌরসভার কেরোয়াগামী ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত ব্রীজের দু’পাড়ে পলিথিন ময়লা-আর্বজনা ফেলে নদী দোষণ ও পথচারির চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই ব্রীজ এলাকা নাক চেপে পারাপার হতে হচ্ছে পথচারিদেরকে। জনস্বাস্থ্য চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।

একই অবস্থা বিরাজমান উপজেলার অপরাপর হাট-বাজারগুলোতে। কোথাও নেই সঠিক বর্জ ব্যবস্থাপনা। সরকার বারবার জলবায়ূর উপরে গুরুত্বারোপ করে আসলেও মাঠপর্যায়ে কার্যকর ও বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রশাসনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও পরবর্তীতে তদারকী কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে হবে বলে পরিবেশবিদরা জানান।

এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী প্রিয় সময়কে জানান, ময়লা-আবর্জনা ব্রীজের ওই স্থানে ফেলতে নিষেধ করা হয়েছে। তারপরেও যদি কেউ নিষেধ অমান্য করে থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পলিথিন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।


এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমুননেছা জানান, পলিথিন পরিবেশ দূষণ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িতে তোলে। পলিথিন ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন খুব বেশী। আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে বলবো। তাছাড়া মোবাইল কোর্ট ব্যবস্থা অচিরেই জোরদার করবো।

এ বিষয়ে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আঃ হান্নান জানান, পলিথিন ব্যবহারকারীদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খোঁজ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।