ইসলামের নামে পঞ্চগড়ে যারা হামলা-ভাংচুর করেছে তারা ইসলামের শত্রু : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ

এন এ রবিউল হাসান লিটন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, “গত ২ ৩ ৪ তারিখ যেভাবে হামলা পরিচালনা করা হয়েছে এটি জঘন্য হামলা। হামলা পরিচালনা করার আগে থেকে উস্কানি ছড়ানো হয়েছে। বাঁশের কেল্লা পেজ থেকে এবং কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে রুমিন ফারহানা বিএনপির সাবেক এমপি এবং বিএনপির সাবেক এমপি হারুন অর রশিদের ফেসবুক পেজ থেকে উস্কানি ছড়িয়ে সংঘটিত করে এই হামলা পরিচালনা করা হয়েছে।

অর্থাৎ এই হামলা যারা করিয়েছে তারা সারা বাংলাদেশের বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। তারা সারা বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। সে মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। মানুষের উস্কানি দেয়া হয়েছে। বাঁশের কেল্লা কারা পরিচালনা করে আপনার জানেন। এবং যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উস্কানি ছড়িয়েছে শিবিরের তেতুলিয়া উপজেলা সভাপতি উস্কানি দিয়েছে। এখানে যারা যুক্ত ছিল তারা বেশিরভাগ বিএনপি জামাতের লোক। তারা ব্যবহার করেছে অন্য ব্যানার, মূলত তারা বিএনপি জামাতের। “

তিনি আরও বলেন, “১৩ ১৪ ১৫ সালের যেভাবে হামলা করা হয়েছিল একইভাবে করা হয়েছে । এগুলো ঢাকা থেকে এবং লন্ডন থেকে মনিটর করা হয়েছে। এখানে গন্ডগোল লাগিয়ে সারাদেশে গন্ডগোল লাগানোর উদ্দেশ্যে তাদের ছিল। যে বা যারা এটার সাথে যুক্ত থাকুক না কেন যে দলেরওই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।”

তথ্য মন্ত্রী আরও বলেন, “ইসলামের নামে এইভাবে মানুষের উপর হামলা করা ইসলাম কখনো সমর্থন করে না। যারা করে তারা ইসলামের গায়ে কালিমা লেপন করছে। যারা ধর্মের নাম ব্যবহার করে ইসলামকে ব্যবহার করে, রাসুল (সাঃ) এর নাম ব্যবহার করে যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে, হামলা পরিচালনা করছে, সরকারি সম্পত্তিতে, সরকারি প্রশাসনের উপর হামলা করছে তারা ইসলামের শত্রু। তারা ইসলামের গায়েও কালিমা লেপন করছে। এই শত্রুদের প্রতিহত করার জন্য আমি দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির বিধান করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধান করতে বন্ধ পরিকর।”

১২ মার্চ (সোমবার) বিকালে পঞ্চগড় শের-ই-বাংলা চত্বর মুক্তমঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিএনপি-জামাতের দেশব্যাপী ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি, অগ্নিসংযোগ-লুটপাটের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রী গত শুক্রবার (৩ মার্চ) আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানী) বার্ষিক সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত আহমেদ নগর পরিশর্দনে যান।

পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেলপথ মন্ত্রী এড নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির রংপুর বিভাগ সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এড. সফুরা বেগম রুমি, পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মাজহারুল হক প্রধান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট। এসময় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।