মনপুরায় গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনার যুবলীগ নেতা আটক

মনপুরা প্রতিনিধি :

ভোলার মনপুরায় এক গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনার মামলায় যুবলীগ নেতাকে আটক করে মনপুরা থানা পুলিশ।

শনিবার (১ এপ্রিল) রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট এলাকা থেকে ওই যুবলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশ।

পরে রোববার সকাল ১০ টায় আটককৃত যুবলীগ নেতাকে আদালতের মাধ্যমে ভোলা জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। তবে নির্যাতনের মামলার আসামী হাজিরহাট ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ বাচেত সহ অপর আসামী আবদুল মন্নান পলাতক রয়েছে।

আটককৃত যুবলীগ নেতা হলেন, উপজেলা হাজিরহাট ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সম্পাদক মোঃ ইসমাইল মাঝি।

মামলার বাদী গৃহবধু ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ মার্চ রোববার ১০ টায় হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট এলাকায় স্বামীর বাড়িতে ওই গৃহবধূ বাড়ির ওঠানে কাজ করছিল। তখন ইউপি সদস্য মোঃ বাচেত ওই গৃহবধূকে ঝাপটে ধরে নির্যাতন চালায়। পরে ওই গৃহবধূ ডাক চিৎকার দিলে মামলার স্বাক্ষীরা চলে আসলে বাচেত মেম্বার গৃহবধূকে ছেড়ে দেয়। পরে ওয়ার্ড যুবলীগের সম্পাদক যুবলীগ নেতা ইসমাইল মাঝি ও আবদুল মন্নান এসে ওই গৃহবধূ সহ মামলার স্বাক্ষীদের মারধর করে। এই ঘটনায় ওই গৃহবধু ভোলা জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা করে। পরে আদালতের নির্দেশে ১ এপ্রিল (শনিবার) মনপুরায় থানায় ওই গৃহবধূর অভিযোগে মামলা নেয় পুলিশ। পরে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার ৩ নম্বার আসামী যুবলীগ নেতা ইসমাইল মাঝিকে আটক করে পুলিশ।

এই ব্যাপারে আটককৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল মাঝি জানান, ইউপি সদস্য বাচেত মেম্বারের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরের ঘটনায় ওই গৃহবধূর সাথে মেম্বার কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। তখন স্থানীয়রা সহ আমি গিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান বিষয়টি শালিসের মাধ্যমে সমাধান করার আশ্বাস দেন। কিন্তু আমি বাচেত মেম্বারের আতœীয়র কারনে আমাকে ৩ নম্বার আসামী করে ওই গৃহবধূ আদালতের মাধ্যমে মামলা করে।

এই ব্যাপারে মামলার পলাতক প্রধান আসামী ইউপি সদস্য মোঃ বাচেত মুঠোফোনে জানান, ওই গৃহবধূর সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ঝগড়া ও কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু জমির বিরোধের ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে যুবলীগ নেতা সহ আমাকেসহ তিনজকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা করে ওই গৃহবধূ।

এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, আদালতের নির্দেশে শনিবার মামলা নিয়ে মামলার তিন নম্বর আসামী যুবলীগ নেতাকে আটক করা হয়। পরে রোববার আদালতের মাধ্যমে ভোলা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।