পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত

এন এ রবিউল হাসান লিটন, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আইনুল হক (৩৫) নামের এক বাংলাদেশী যুবক নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১ নভেম্বর) ভোর রাতে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাসেমগঞ্জ এলাকার ৪৪৮ নম্বর পিলারের ভারতের অভ্যন্তরে ফাঁসি দেয়া ক্যাম্পের ফকিরগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত আইনুল হক দক্ষিণ কাসেমগঞ্জ এলাকার আকবর আলীর ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি গরুর ব্যবসা করে আসছিলো বলে জানা যায়।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতের ফকিরগঞ্জ বিএসএফ’র ১৭৬ ব্যাটালিনের আওতাধীন ফাঁসি দেওয়া সীমান্ত ও বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমগঞ্জ সীমান্তের মেইন পিলার ৪৪৮ এর ৪ সাব পিলার এলাকায় কয়েক রাউন্ড গুলি শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। বুধবার সকালে ভারতীয় সীমান্তের ওপারে মহানন্দা নদীতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে সীমান্তে ভীর জমায় উৎসুক জনতা।
খবর পেয়ে পঞ্চগড় ১৮ ব্যাটলিয়ন বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়।

এ ব্যাপারে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত- ই খুদা মিলন বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে আইনুল হক নামের একজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। সে গরু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। বিএসএফ মরদেহ নিয়ে গেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে দু-এক দিনের মধ্যে মরদেহ দেশে আনার চেষ্টা চলছে।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, বাংলাবান্ধা সীমান্তের ওপারে একজন গরু চোরাকারবারি নিহত হয়েছেন বলে শুনেছি। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, বিএসএফ মরদেহ নিয়ে গেছে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জুবায়েদ রহমান বলেন, পতাকা বৈঠকে বিএসএফ বিষয়টি স্বীকার করেছে। বিএসএফের দাবি, বিএসএফের টহলদল সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া কাটার সময় এগিয়ে এলে একটি গরু চোরাকারবারি তাদের ওপর আক্রমণ করে। এসময় তারা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালান। আরও বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হবে।