রূপগঞ্জে কারখানার বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তা কেটে ফেলার অভিযোগ, ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শবনম ভেজিটেবলস ওয়েল মিলস নামে একটি কারখানার বিরুদ্ধে ভেকু দিয়ে সরকারি রাস্তা কেটে ফেলার অভিযাগ উঠেছে। রাস্তাটি কেটে ফেলার কারণে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে। এ ব্যাপারে ওই এলাকার ভুক্তভোগী ২’শ পরিবারের স্বাক্ষ্যরিত একটি লিখিত অভিযোগ দেন জেলা প্রশাসকের কাছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার তারাব এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে শবনম ভেজিটেবলস ওয়েল মিলস কারখানাটি অবস্থিত। তারাব পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের নদীর তীর সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে নিজ মালিকানাধীন জমি রয়েছে এখানে। শবনম ওয়েল মিলের পাশে শীতলক্ষ্যার তীরে সাধারণ মানুষের আসা যাওয়ার একটি সরকারি রাস্তা রয়েছে। এ রাস্তাটি দিয়ে স্থানীয় প্রায় ১০ হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করে আসছে। গত ২৩ জানুয়ারি রাতে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এ রাস্তাটি ভেকু দিয়ে কেটে ফেলেন। রাস্তাটি কেটে ফেলার কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলের অনুপোযুগী হয়ে পড়েছে।

এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। রাস্তাটি কেটে ফেলে কারখানা কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের কাছ থেকে নদীর তীরে জমি গুলো কম দামে কেনা ও জবর দখলের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

পরে বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পেরে কারখানা কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করলে “শবনম ভেজিটেবলস ওয়েলস মিলস্ লিঃ” এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন এলকাবাসীকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি ধামকি প্রদান করে। রাস্তাটি কারখানা কর্তৃপক্ষ থেকে দখলমুক্ত করার দাবি জানান এলাকাবাসী। পরে এলাকাবাসী স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), তারাব পৌরসভার মেয়রের কাছে একটি অনুলিপি প্রদান করে।

এ ব্যাপারে শবনম ভেজিটেবলস ওয়েল মিলের এক কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বলেন, আমরা কারখানা কর্তৃপক্ষ রাস্তায় ইটগুলো বিছিয়ে ছিলাম। এখন আমাদের ইট আমরা উঠিয়ে ফেলেছি। এটি বলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোনটি কেটে দেন।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এখনো অনুলিপিটি আমার কাছে আসেনি অনুলিপি আসলে তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হকের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।