হাইমচরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তা

শরীফ মোঃ মাছুম বিল্লাহ : হাইমচর উপজেলার চরভাঙ্গা গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে যাওয়া বাবুল গাজীর দোকান পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী। এসময় ভুক্তভোগী বাবুল গাজীর হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন তাঁরা।

জানা যায়, হাইমচর উপজেলার চরভাঙ্গা গ্রামের বাবুল গাজীর চা দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চললেও হাইমচর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।

১৯ মে ২০২৪ রবিবার ভোর ৫ টায় উপজেলার ৮নং ওয়ার্ড ভোট কেন্দ্র সংলগ্ন উত্তর চরভাঙ্গা গ্রামের বাবুল গাজীর এ চা দোকানে আগুন লাগে। যার একমাত্র অবলম্বন ছিল এ চা দোকান। নিমিষেই শেষ হয়ে যায় তার ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দোকানের সকল মালামাল পুড়ে গেছে। টাকাসহ ক্যাশ বাক্স পুড়ে গেছে। দোকানে থাকা ফ্রিজ, টিভি, চাল, ডাল, বিস্কুট সহ দোকানের প্রায় সকল পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে যায়। টিন ও কাঠের তৈরি এ দোকানে আগুনের ভয়াবহতায় অবশিষ্ট সবই ব্যবহার অনুপযোগী। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে বৈদ্যুতিক তার থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। দোকানে থাকা ফ্রিজ, টিভি সহ গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম পুড়ে প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ফজরের নামাজ শেষে হঠাৎ করেই আগুনের লেলিহান শিখা দেখে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। আশপাশের পুকুর খাল শুকিয়ে যাওয়ায় পানির ব্যবস্থাও ছিল না। তবুও নিজেরা অনেক চেষ্টার মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি।

স্থানীয় বাসিন্দা ১নং গাজীপুর ইউনিয়নের হিসাব সহকারী মোঃ কামরুল হাসান জানান, নামাজের পর হৈ-হুল্লোড় শুনে দ্রুত বাবুল গাজীর চা দোকানের সামনে উপস্থিত হই। এসে দেখি আগুন জ্বলছে। তাৎক্ষণিক এলাকাবাসীর সহযোগীতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এ আগুনে দোকান মালিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবুল গাজীর যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা পোষাবার নয়।

৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান শেখ জানান, আমি সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই উপস্থিত হই। ততক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বাবুল গাজীর দোকান পুড়ে যাওয়ায় তিনি দুঃখ করে বলেন, এ ব্যক্তির উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ছিল এ চা দোকান। তা আজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমরা আমাদের সাধ্য মত তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো। যতটুকু সম্ভব তার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে আনার চেষ্টা করবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দোকান পুড়ে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগী বাবুল গাজীর হাতে সামান্য কিছু নগদ অর্থ তুলে দিয়ে সান্তনা দিয়ে এসেছি। এ অগ্নিকাণ্ডে তার যে ক্ষতি হয়েছে আমরা সরকারি তহবিল থেকে কিছুটা হলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা করবো বলে আশা রাখছি।

প্রকাশিত :  সোমবার,  ২১  মে ২০২৪

স্ক্যাবিস বা চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কী করবেন?

ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন