দোহারে পৌরসভার অনুমতি ছাড়া সরকারি খালের ওপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার দোহার উপজেলার দোহার পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর খালেদা আক্তার ও তার বোন বেগম আয়েশা গার্লস উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ কুলসুম বেগমের বিরুদ্ধে জয়পাড়া খাল দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দোহার পৌরসভার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া এই খাল প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে দখল হয়ে যাচ্ছে অথচ প্রশাসন নিতে পারছে না কার্যকরি কোন ব্যবস্থা। খাল দখল করে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে দখল করা হচ্ছে এই খাল।

দোহার পৌরসভার ১ নং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কমিশনার খালেদা আক্তার ও তার বোন বেগম আয়েশা গার্লস উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ কুলসুম বেগম পরিকল্পিত ভাবে এই খাল দখল করছেন বলে খবর পাওয়া যায়। ঘটনার তদন্তে সংবাদ কর্মী ঘটনাস্থলে গেলে অভিযোগের সত্যতা খুজে পান।

১৯৯৬ সালে রাস্তাটি সংরক্ষনের জন্য তৎকালীন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাসেম আলী এই রাস্তাটি সংরক্ষনের জন্য উদ্যোগ নেন এবং মাটি দিয়ে রাস্তা ও নদী সংরক্ষন করেন। জয়পাড়া কলেজের পিছনে উত্তর জয়পাড়া কুঠিবাড়ি ( দেওতলা) খাল সংলগ্ন রাস্তার পাড়ে গাইড ওয়াল নির্মান করে এই অবৈধ স্থাপনা নির্মান করা হচ্ছে। এর ফলে মুল খালের অনেকাংশই দখলে চলে গেছে দখলকারীদের। ফলে এক দিকে জয়পাড়া খাল যেমন দখল হয়ে যাচ্ছে ঠিক একই ভাবে নতুন এই সীমানা ধরে খাল দখল করার জন্য যেন উৎসাহিত করা হচ্ছে দখলকারীদের।

এই ব্যাপারে ওয়ার্ড কাউন্সিলর খালেদা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি খাল দখল করেন নি। তিনি তার জায়গা সংরক্ষনের জন্য গাইড ওয়াল করেছেন।

গাইড ওয়ালের কারনে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হলে তার ক্ষতির দায়ভার কে নিবে সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি কোন কথা না বলে ব্যস্থতার অযুহাতে ফোন কেটে দেন।

এই ব্যাপারে বেগম আয়েশা গার্লস উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ কুলসুম বেগমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তারা কোন খাল দখল করেন নি। তারা এই জমি কিনেছেন। তারা বৈধভাবে এই জমির মাঝে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। তারা খালের কোন জমি দখল করেন নাই।

গাইড ওয়ালের ক্ষেত্রে কারো অনুমতিপত্র নিয়েছেন কিনা এই ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান এবং সাংবাদিককে চায়ের দাওয়াত দেন।

এই ব্যাপারে দোহার পৌরসভার প্রধান প্রৌকশলী মশিউর রহমান বলেন, এই ব্যাপারে পৌরসভার কিছু করার নেই। খালটি দোহার উপজেলা প্রশাসনের আন্ডারে আছে। তারাই এর ব্যবস্থা নিবে।

এই ব্যাপারে দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র এই ব্যাপারে বলেন, সরকারী স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন জমিতে অবৈধ স্থাপনা সহ্য করা হবে না। আমি ইতিমধ্যে অভিযোগ পেয়েছি এবং ঘটনা তদন্ত করতে উপজেলা থেকে লোক পাঠিয়েছি। ঘটনা সত্য হলে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সে প্রভাবশালী যেই হোক।