রূপগঞ্জে ১০ দিন ধরে তীব্র গ্যাস সংকট, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

মো. সোহেল কিরণ, নিজস্ব প্রতিনিধি :

ভোর হতে না হতেই তিতাস গ্যাসের লুকোচুরি শুরু হয়ে যায়। সারাদিনে গ্যাস নেই বললেই চলে। দিনের বেলা পানি গরম হতেই ঘণ্টাখানেক সময় লেগে যায়। সন্ধ্যায়ও তেমন একটা থাকে না। মাঝে মাঝে গ্যাস একটু আধটুকু আসে তাও খুব অল্প সময়ে জন্য। তাই বাধ্য হয়ে গৃহীনিদের মাটির তৈরী চুলা ও গ্যাস সিলিন্নডারে রান্না করতে হচ্ছে। অনেকে আবার রেস্তোরা থেকে খাবার কিনে আনছেন। গত ১০ দিন সপ্তাহ ধরেই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় তীব্র গ্যাস সংকট চলছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলার তিতাস গ্যাসের প্রায় ৭ হাজার বৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ রয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে রূপসী, বরপা, তারাব, ভুলতা, গোলাকান্দাইল, কাঞ্চন, শান্তিনগর, কাজীপাড়া, দক্ষিণ রূপসী, মৈকুলী, মুড়াপাড়া, আমলাবোসহ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। অধিকাংশ এলাকায় কখনো গ্যাসের চুলায় আগুন জ্বলছে, কখনো জ্বলছে না। আবার কখনো জ্বলছে নিভু নিভু করে। এতে গৃহিণীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। রূপগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্যাসের চাপ নেই বললেই চলে।

কথা হয় রূপসী এলাকার বাসিন্দা মাহমুদা আক্তারের সঙ্গে তিনি বলেন, গ্যাস না থাকায় বাধ্য হয়ে লতাপাতা কুড়িয়ে এনে মাটির চুলায় রান্না করছি। গ্যাস সকালে গেলে সন্ধ্যায়ও আসে না। মাঝেমাঝে যেটুকু থাকে সেটুকু দিয়ে পানিও গরম হয় না সহজে। কবে যে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো জানি না। গ্যাস সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

চায়ের দোকানি দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি বাড়িতে ছোট একটি চায়ের দোকান দিয়ে সংসার চালাচ্ছি। সারাদিন গ্যাসের চাপ এতই কম থাকে যে চায়ের কেটলির পানিও গরম হতে ঘণ্টাখানেক সময় লেগে যায়। তাই বাধ্য হয়ে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছি। গ্যাস না থাকায় গ্যাস বিলের পাশাপাশি অতিরিক্ত খরচ বহণ করতে হচ্ছে। গত ১০ দিন ধরে এ সমস্যা পোহাচ্ছি।

ভুলতা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম জানান, দিনের বেলায় গ্যাস থাকে না বিধায় রাতেই রান্নার কাজ সেরে ফেলতে হয়। মাঝেমধ্যে রেস্তোরা থেকে খাবার কিনে আনতে হয়। গ্যাস না থাকলে মাঝেমধ্যে না খেয়েই ঘুমাতে হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সোনাগাঁও আঞ্চলিক শাখার বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মেজবাউর রহমান বলেন, তিতাস গ্যাসের সাপ্লাই কম এ কারণে গ্যাসের প্রেসার কমে গেছে। তবে এ সমস্য শীঘ্রই দূর হয়ে যাবে বলে আশা করছি।