ডাকাতিয়া নদীতে নির্বিচারে দেশীয় প্রজাতির মাছ নিধন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চাঁদপুরে ভয়ঙ্কর চায়না রিং জালের ফাঁদে দেশীয় প্রজাতির মাছ। সহজে বেশি বেশি মাছ ধরা পড়ায় ডাকাতিয়া নদী সহ খাল বিলে জেলেরা ব্যবহার করছে এই চায়না রিং জাল।

রিংজালের ফাঁদ পেতে নির্বিচারে ছোট-বড় ডিমওয়ালা মাছ শিকার করা হচ্ছে। রিং জাল দিয়ে মাছ শিকার নিষিদ্ধ থাকার পরও জেলেরা আইনকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে অহরহ মাছ শিকার করে যাচ্ছেন তারা। উজাড় করা হচ্ছে মৎস্য সম্পদ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৎস সম্পদ বাঁচাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন পাটওয়ারী।

জানা যায়, নদ-নদীতে থাকা মিঠা পানির সব ধরনের দেশীয় প্রজাতির মাছ সুক্ষ এই জালে ধরা পড়ছে। বিশেষ করে পানি বৃদ্ধি ও মাছের প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা চিংড়ি, পুঁটি, টেংরা, কই, সিং, মাগুর, তেলাপিয়া, বেলে, বোয়াল, শোল, টাকিসহ প্রাকৃতিক সব মাছ এই সর্বশেষ প্রযুক্তির চায়না জালে নিধন হচ্ছে।

এতে ক্রমেই মাছ শূন্য হয়ে পড়ছে ডাকাতিয়া নদীসহ উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল। চলতি বর্ষায় ডাকাতিয়া নদীর তীরবর্তী সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকার অসাধু জেলেরা কোনো বাধাবিগ্ন ছাড়াই রিং জাল দিয়ে মাছ শিকারে মহোৎসব গড়ে তুলেছেন। এতে হারিয়ে যেতে বসেছেন স্বাদযুক্ত দেশীয় প্রজাতির মাছ।

ছবি : মো. মহিউদ্দিন, ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :

এদিকে বর্ষা আসার মুহূর্তেই মৎস সম্পদ বাঁচাতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আল মামুন পাটওয়ারী। তিনি গত ১৮ জুলাই অভিযান চালিয়ে ডাকাতিয়া নদীর তীরবর্তী নিজ ইউনিয়নের ছোট সুন্দর বাজার সংলগ্ন ও বগার গুদারাঘাট সংলগ্ন তিনটি স্থান থেকে ১৭ টি রিং জাল জব্দ করেন। এবং জেলেদেরকে সতর্ক করে দেন।

এছাড়াও এ ইউনিয়নে নিষিদ্ধ চায়না দোয়াইর বা রিং জাল দিয়ে ডাকাতিয়া নদীতে জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করা, রিং জাল আটক ও পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে সচেতনতামূলক মাইকিং করে আসছে।

আরো পড়ুন : শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায়

আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ

আরো পড়ুন : পাইলস রোগে করণীয়

আরো পড়ুন : জেনে নিন দীর্ঘক্ষণ মিলনের ঔষধ

আরো পড়ুন : একজিমা হলে কী করবেন?