নারায়ণগন্জে ‘হোল্ডিংট্যাক্স’ বকেয়া ৩৪ কোটি টাকা

সোহেল আহমেদ ভূঁইয়া, করেসপন্ডেন্ট :

এক বছর, দুই বছর করে জমতে জমতে অনেক হোল্ডারদের ট্যাক্স বকেয়া পড়েছে। হাজার বা লাখ টাকা নয়। কোটির ঘর ছাড়াতে চলেছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এর তিন অঞ্চল মিলিয়ে হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়ার মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৪ কোটি ৮৫ লাখ ১ হাজার ২৫২ টাকা। এই বিপুল পরিমাণ বকেয়া ট্যাক্স আদায়ে শিঘ্রই ব্যবস্থা নিতে চলেছে নাসিক কর্তৃপক্ষ। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনকে তিনটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে ট্যাক্স আদায়ের সুবিধার্থে। এক নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল, দুই সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চল ও তৃতীয় কদমরসুল অঞ্চল (বন্দর)। নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে মোট হোল্ডিং সংখ্যা ১৭ হাজার ১৮৮ টি। সিদ্ধিরগঞ্জে হোল্ডিং সংখ্যা ২৬ হাজার ৫৬৯ টি এবং কদমরসুল অঞ্চলে মোট হোল্ডিং সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৩২ টি।

জানাগেছে, চলতি অর্থ বছরের জুন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের বকেয়ার পরিমাণ ১৩ কোটি ২৯ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫৪৫ টাকা। সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের বকেয়ার পরিমাণ ১৭ কোটি ৮ লক্ষ ১ হাজার ১০৮ টাকা। কদমরসুল অঞ্চলের বকেয়ার পরিমাণ ৪ কোটি ৪৭ লক্ষ ৫৬ হাজার ৫৯৯ টাকা।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে হোল্ডিং ট্যাক্স খেলাপীর সংখ্যা হাজারের কাছাকাছি। সিটি করপোরেশন প্রতিবছরের শুরুতে বকেয়া ট্যাক্স পরিশোধের নোটিশ করেন। সেই নোটিশে কিছুটা কাজ হয়, কিছুটা হয় না। তবে গত দেড়বছর ধরে কোভিডের কারণেও বকেয়া বেড়েছে। অনেকে বিল হাতে পেয়েও ট্যাক্স দিতে গড়িমসি করেন। একবছর পেরিয়ে গেলে ভাবেন সামনের বছর একসাথে দেয়া যাবে। এক সময় দেখা যায় দেখতে দেখতে ৬/৭ বছরের ট্যাক্স জমা হয়ে গেছে। বিলের বোঝাটাও বাড়ছে। তাছাড়া নাম উঠে যাচ্ছে কর খেলাপী হিসেবে।

সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বয়স প্রায় ১০ বছর। পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত হলেও নিজস্ব আয়ের খাত খুব বেশি বাড়েনি স্থানীয় সরকারের এ প্রতিষ্ঠানের। নিজস্ব আয়ের সব খাত মিলিয়ে কর্মকর্তা -কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন-ভাতা পরিশোধ করার পরও ব্যাপক উন্নয়ন করছে নাসিক। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাছে শতভাগ সেবা আশা করলেও কর পরিশোধে খুব একটা আগ্রহী নন নগরবাসী। ফলে দিনের পর দিন নগরবাসীর কাছে হোল্ডিং ট্যাক্স ও পানির বিলের মতো বকেয়া পাওনার পরিমাণ বেড়েই চলে। বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও আদায় করা সম্ভব হয় না এই পাওনা। বর্তমানে নগরবাসীর কাছে কেবল হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ৩৪ কোটি টাকার ওপরে পাওনা আছে সিটি করপোরেশনের।

নাসিক এর নিজস্ব আয়ের সবচেয়ে বড় খাত হচ্ছে হোল্ডিং ট্যাক্স। এই খাত থেকে আগামী অর্থবছরে সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এই খাতে নগরবাসীর কাছে সিটি করপোরেশনের বকেয়া পাওনা রয়েছে ৩৪ কোটি টাকা। একের পর এক নোটিশ দিয়েও আদায় করা যাচ্ছে না এই বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স। খেলাপিদের মধ্যে যেমন রয়েছেন নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তরা। তেমনি রয়েছেন বিত্তশালীরাও। অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান, এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে খেলাপির তালিকায়। বকেয়া ট্যাক্স আদায় না হওয়ায় সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হয় বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ

আরো পড়ুন : গেজ, অশ্ব,পাইলসের সহজ চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়ার হোমিও চিকিৎসা