

মূল : জন পার্কিন্স
অনুবাদ ও সম্পাদনা : জালাল কবির, টরন্টো, কানাডা
দ্বিতীয় পর্ব
১৯৭১-১৯৭৫

অধ্যায়-৬
অনুসন্ধানদাতা হিসেবে আমার ভূমিকা
ইন্দোনেশিয়ান সরকারের সাথে আমাদের চুক্তি ছিল, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক, এবং ইউএসএইড (টঝঅওউ) এর শর্ত, কেউ একজন আমাদের টিম থেকে, মাষ্টার প্রø্যানের আওতা-ভুক্ত অঞ্চলের সমস্ত প্রধান জনবসতি-কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করবে। আমাকে এই শর্ত পুরণ করার দায়িত্ব দেয়া হল। চার্লি এভাবে বলল, “তুমি আমাজনে (ল্যাটিন আমেরিকায়) টিকে থেকেছ। তুমি জানো ছারপোকা, সাপ এবং খারাপ পানির সাথে কিভাবে উঠাবসা করতে হয়।”
ড্রাইভার ও দোভাষীকে সাথে নিয়ে আমি অনেক সুন্দর জায়গা ঘুরে দেখেছি। বেশ কিছু মনোরম কিন্ত বিষন্ন মনে সাধারন ভাড়ার কক্ষে রাত্রিবাস করেছি। আমি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকদের সাথে দেখা করেছি। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাব্যতা সম্পর্কে তাদের মতামত শুনেছি। তাদের অধিকাংশকে আমি দেখেছি, এদের অনেকেই আমার সাথে তথ্য বিনিময় করতে অনিচ্ছুক। আমার উপস্থিতিতে মনে হলো তারা ভীত এবং একধরনের গররাজি। বিশেষ করে আমাকে তারা বলেছে, তাদের উপরওয়ালা, সরকারি এজেন্সী, বা জাকার্তার কর্পোরেট সদর দফতরের সাথে সাক্ষাত করে তাদের বক্তব্য মিলিয়ে নিতে। আমার মাঝে মাঝে সন্দেহ হত, নিশ্চয়ই কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র আমার দিকে তাক করা হচ্ছে।
এই সফরগুলি ছিল সাধারনত সংক্ষিপ্ত, দুই বা তিন দিনের বেশি নয়। ফাঁকে ফাঁকে আমি বান্দুং এর উইসমাতে ফিরে আসতাম। যে মহিলা এটার দেখাশুনা করত, তার একটি ছেলে ছিল, আমার চাইতে কয়েক বছরের ছোট। তার নাম ছিল রাসমন। কিন্ত তার মা ছাড়া সবাই তাকে রাসি বলে ডাকত। স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সে অর্থনীতির ছাত্র। সে অবিলম্বে আমার কাজে আকর্ষণ অনুভব করেছিল। বস্তুত, আমি কিছু কিছু সময় সন্দেহ করতাম, সে আমার কাছে একটি চাকরির আবেদন করবে। সেও আমাকে ‘বাহাসা ইন্দোনেশিয়া’ (স্থানীয় উপভাষা) শেখাতে শুরু করল।
ইন্দোনেশিয়া হলান্ডের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করার পর প্রেসিডেন্ট সুকার্নো সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন একটি “সহজ-ভাষা-শিক্ষার” প্রতি। গোটা দ্বীপপুঞ্জে ৩৫০টি ভাষা এবং উপভাষার প্রচলন ছিল। সুকার্নো বুঝতে পেরেছিলেন, তার দেশের একটি সাধারন ভাষার প্রয়োজন। যা বহু দ্বীপ আর সংস্কৃতির জনসাধারনকে ঐক্যবব্ধ করার জন্য সহায়তা করবে। তিনি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা-বিশেষজ্ঞদের দল নিযুক্ত করলেন। এবং ‘বাহাসা-ইন্দোনেশিয়া’ হল খুবই সাফল্যজনক পরিণাম। এর ভিত্তি মালয়ভাষা এবং এতে অনেক কাল-পরিবর্তন, অনিয়মিত ক্রিয়া, এবং অন্যান্য জটিলতা বর্জন করা হয়েছে, যার অধিকাংশ এই ভাষার বৈশিষ্ট। ১৯৭০ সালের গোড়ার দিক থেকে, ইন্দেনেশিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসাধারন এ ভাষায় কথা বলত। যদিও তারা নিজস্ব গোষ্ঠীর মধ্যে জাভানিজ ও অন্যান্য স্থানীয় উপ-ভাষাও ব্যবহার করত। রাসি ছিল খুবই মহান শিক্ষক এবং তার ছিল হাস্যরস করার অদ্ভুত ব্যক্তিত্ব। সোয়ার এবং স্পেনিশ ভাষার সঙ্গে তুলনা করলে, ইন্দোনেশিয়ার ‘বাহাসা’ অনেক সহজ।
রাসির একটি স্কুটার ছিল। সে এটাতে আমাকে চড়িয়ে তার শহর ও লোকজনের সাথে আমাকে পরিচয় করাত। “আমি তোমাকে ইন্দোনেশিয়ার এমন একটি দিক দেখাবো, যা তুমি দেখোনি,” সে এক বিকেলে আমাকে প্রতিশ্রæতি দিল এবং আমাকে তার পিছনে লাফ দিয়ে উঠার জন্য ইশারা দিল।
আমরা ছায়াবাজির পুতুল খেলা, সঙ্গীতকারদের ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র, ফুঁ দিয়ে আগুন উড়ানো, বাজিকরের ভোজবাজি, এবং ফেরিওয়ালা যারা রাস্তায় সবকিছুই ফেরী করে বিক্রি করে, সবাইকে অতিক্রম করে চল্লাম। বিক্রির জন্য রয়েছে আমেরিকা থেকে পাচার হওয় গানের ক্যাসেট, আদিবাসীদের বিরল নৃতাত্তি¡ক অস্ত্র-সস্ত্র। সবশেষে, আমরা একটি ছোট্ট কফি হাউসে এলাম। খদ্দের সবাই তরুন-তরুনী। তাদের গায়ের বসন, মাথার টুপি, এবং চুলের স্টাইল সবই বিটলস এর মত। (ফ্যাশন হিসেবে ১৯৬০ দশকের শেষে বৃটিশ বিটল-কনসার্ট গ্রুপের মত) তবে সবাই ছিল স্পষ্টভাবে নিখুঁত ইন্দেনেশিয়ান। রাসি টেবিলের চারদিকে বসা একটি গ্রæপের সাথে আমাকে পরিচয় করাল এবং আমরা বসে গেলাম।
সবাই ইংলিশে কথা বলে। তবে কথার সাবলীলতায় পার্থক্য আছে। তারা সবাই আমার ‘বাহাসা’ ভাষায় কথা বলার প্রচেষ্টার প্রশংসা করে উৎসাহ দিল। খোলামনে এ নিয়ে তারা কথা বলল এবং আমাকে জিজ্ঞেস করল, কেন আমেরিকানরা কখনই তাদের ভাষা শেখেনি ? আমার কোনো উত্তর জানা ছিল না। আমি এটাও ব্যাখ্যা করতে পারলাম না। শহরের এই অংশে আমিই কেন একমাত্র আমেরিকান বা ইউরোপীয়ান। যদিও সব সময় আমাদেরকে প্রচুর সংখ্যায় গলফ, র্যাকেট ক্লাবে, বিলাসী রেষ্টুরেন্ট, সিনেমা হল এবং অভিজাত বিপণী বিতানে দেখতে পাওয়া যায়।
এ রাতটি আমার আজীবন মনে থাকবে। রাসি এবং তার বন্ধুরা আমাকে তাদের নিজেদের একজন হিসেবে আন্তরিক ব্যবহার করেছে। আমি সেখানে গিয়ে এক ধরনের উল্লাস অনুভব করেছি। তাদের শহর, খাবার, এবং সঙ্গীতে অংশ নিয়েছি। লবঙ্গ-সিগারেট ও অন্যান্য সুগন্ধ উপভোগ করেছি। তাদের সাথে হাস্যরস করেছি। এসবই ছিল তাদের জীবনের অঙ্গ। এটাও যেন আবার শান্তিবাহিনীর সাথে কাজ করার মত সর্বাঙ্গীন অনুভুতি। আমি নিজে নিজে বিষ্ময় অনুভব করলাম, ভাবলাম আমি প্রথম শ্রেণীতে ভ্রমন করব এবং এ ধরনের লোকজনের সাথে নিজেকে আলাদা করে রাখব। রাত যতই বেড়ে চলল, তারা ক্রমেই বেশি করে আগ্রহ প্রকাশ করছিল, তাদের দেশ সম্পর্কে এবং ভিয়েতনামে আমার দেশ যে যুদ্ধ করছিল সে বিষয়ে আমার চিন্তাধারা কি তা জানতে। প্রত্যেকেই ছিল খুব ভীতসন্ত্রস্ত, তারা কথায় কথায় উল্লেখ করছিল, “বেআইনি অনুপ্রবেশ“ এবং স্বস্তি পেয়েছিল যখন দেখল আমি তাদের অনুভুতিকে সমর্থন করি।
রাসি এবং আমি যখন গেষ্টহাউসে ফিরে এলাম, বেশ দেরী হয়ে গিয়েছিল। চারদিকে জমাট অন্ধকার। আমি তাকে উচ্ছসিতভাবে ধন্যবাদ দিলাম, তার পৃথিবীতে আমাকে আমন্ত্রন জানানোর জন্য। সে আমাকে ধন্যবাদ দিল, আমি তার বন্ধুদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করেছি, এজন্য। একে অপরকে বুকে জড়িয়ে ধরে আমরা পরস্পরে কথা দিলাম, এধরনের দেখা-সাক্ষাত আবার করব। তারপর যার যার ঘরে চলে গেলাম।
রাসির সাথে এই অভিজ্ঞতা আমাকে তীব্রভাবে উত্তেজিত করে তুলেছিল। ‘মাইনে’ আমার দল থেকে আরও বেশি সময় দুরে থাকার ক্ষুধাও বেড়ে গেল। পরের দিন সকালে, চার্লির সাথে আমার একটি মিটিং ছিল। আমি তাকে বললাম, স্থানীয় জনসাধারনের কাছ থেকে তথ্য জোগাড় করতে গিয়ে আমি হতাশ পয়ে পড়ছি। এ ছাড়া, অধিকাংশ সংখ্যাতত্ত¡ই, যা আমার অর্থনীতির ভবিষৎদ্বানীর জন্য প্রয়োজন, সেসব শুধুমাত্র জাকার্তার সরকারি অফিসগুলিতেই পাওয়া যেতে পারে। চার্লি এবং আমি একমত হলাম, আমার ১-২ সপ্তাহের জন্য জাকার্তায় যাওয়ার প্রয়োজন।
সে আমার জন্য সহানুভুতি প্রকাশ করল। আমাকে বান্দুং ছেড়ে ধোঁয়া উঠা বড়-শহরে যেতে হচ্ছে। আমিও জানালাম, এটা আমারও পছন্দ নয়। মনে মনে আমি কিন্ত উত্তেজিত। নিজের জন্য জাকার্তা শহর আবিস্কার করার কিছুটা সময় আমি পাবো। অভিজাত হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ইন্দোনেশিয়াতে রাত্রিবাস হবে। একবার জাকার্তায় পৌছার পর, অবশ্য আমি আবিস্কার করলাম, এখন আমি জীবনকে একটি পৃথক অবস্থান থেকে অবলোকন করছি। যে রাতটি রাসি ও তার তরুন বন্ধুদের সাথে কেটেছে এবং দেশটির বহু জয়গায় ভ্রমন, আমাকে বদলে দিয়েছে। উপলব্ধি করলাম আমি এখন আমেরিকান-দেশবাসীদের পৃথক আলোকে দেখি। তাদের তরুনী স্ত্রীদের আর তেমন সুন্দর মনে হয় না। চারদিকে চেন দিয়ে বাঁধা সুইমিঙ পুলের বেড়া এবং নিচের তালার জানালার বাইরে ষ্টিলের গরাদ, যা আমি আগে দেখিনি বললেই চলে, এসব এখন এক অশনি সংকেত আর হোটেলের বিলাসী রেষ্টুরেন্টের খাবার বিরস মনে হয়।
আমি আরও অন্য কিছু লক্ষ্য করেছি। রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলার সময়, যেভাবে তারা আমার সাথে ব্যবহার করেছে, তার মধ্যে আমি অত্যন্ত জটিলতার সন্ধান পেয়েছি। এটা আমি আগে উপলব্ধি করতে পারিনি। কিন্ত এখন আমি দেখছি অনেকেই আমার উপস্থিতিতে বিরক্ত ছিল। উদাহারন, যখন তারা আমাকে একজন আরেকজনের পরিচয় করিয়ে দিত, তারা প্রায়ই বাহাসা শব্দ ব্যবহার করত। আমি পরে আমার অভিধান ঘেটে অর্থ বের করেছি, ‘অনুসন্ধানদাতা,‘ এবং ‘জেরাকারী।‘ আমি উদ্দেশ্যমুলকভাবেই গোপন করেছি যে আমি তাদের ভাষার কিছুটা জ্ঞান রাখি। এমন কি আমার দোভাষীও জানত আমি কিছু বাঁধাধরা প্রবাদ আওড়াতে পারতাম। আমি একটি ভালো বাহাসা-ইরেজী অভিধান কিনেছিলাম। তাদের সাথে কথাবার্তা বলে চলে আসার পর আমি প্রায়ই ওটা ব্যবহার করতাম।
এই সব শিরোনামগুলি কি শুধুমাত্র ভাষার কাকতালীয় ব্যাপার ? আমার অভিধানের ভুল-ব্যাখ্যা ? আমি নিজেকে প্রবোধ দেবার চেষ্টা করতাম, এগুলি তাই। তবুও আমি যতই বেশি সময় এদের সাথে কাটাতাম, ততই আমার বিশ্বাস হত, আমি একজন অনুপ্রবেশকারী। উপর থেকে কেউ একজন আদেশ করেছে সহযোগিতা করতে, এবং তা মানা ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই। আমার কোনো ধারনাই ছিল না, একজন সরকারি-কর্মকর্তা, না একজন ব্যাংকার, না একজন জেনারেল, বা আমেরিকার দুতাবাস এই আদেশ জারি করেছে। যা আমি জানতাম, যদিও তারা আমাকে তাদের অফিসে আমন্ত্রন করেছে। তারপর চা পান করিয়েছে, বিনয়ের সাথে আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে, এবং প্রতিটি কথায় প্রকাশ্য শিষ্টাচার দেখিয়েছে। অথচ আমি বুঝতাম এই শিষ্টাচারের পৃষ্ঠভাগের নিচেই থাকত উদাসীনতা আর গভীর ঘৃণা।
আমি খুবই আশ্চর্য বোধ করতাম, আমার প্রশ্ন ও তাদের উত্তর বিষয়ে এবং যে সব উপাত্ত তারা দিত, তাদের বৈধতা সম্পর্কে। যেমন, আমি কখনই বিনা নোটিশে আমার ইচ্ছামত ড্রাইভার কিংবা দোভাষী নিয়ে কোনো অফিসে ঢুকে কারো সাথে দেখা করতে পারিনি। প্রথমে দিন-তারিখ, সময় ও স্থান ঠিক করতে হত। ব্যাপারটিতে তেমন কোনো রহস্য নেই, শুধুমাত্র এসব করতে গেলে জঘন্যভাবে বহু সময়ের অপচয় হয়। অথচ টেলিফোন খুব কমই চালু থাকে। আমাদেরকে ট্রাফিক-জ্যামে আক্রান্ত রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে হত। এগুলি এমন দুমড়ানো, মুচড়ানো যে একটি মাত্র বিল্ডিং পার হতে এক ঘন্টা লেগে যেত। পৌছানোর পর আমাদের বহুবিধ ফর্ম পূরণ করতে বলা হত। অবশেষে একজন পুরুষ সেক্রেটারীর আগমন হত। বিনয়ের সাথে এবং সব সময় ন¤্র স্মিত হাসি সহ সে আমাকে প্রশ্ন করত, কি ধরনের তথ্য আমার দরকার ? তারপর সে সাক্ষাতকারের জন্য একটি সময় নির্ধারন করত।
কোনো ব্যতিক্রম ছাড়া, নির্ধারিত সাক্ষাতকারের তারিখ অন্ততপক্ষে কয়েকদিন পরে। যখন শেষ পর্যন্ত দেখা হল, আমাকে একটি ফাইল দেয়া হল যার মধ্যে সব লিখিত, আগে থেকেই তৈরি করা তথ্যাবলী। শিল্প-মালিকরা আমাকে পাঁচ-দশবছরের পরিকল্পনা ধরিয়ে দিত। ব্যাংকারদের ছিল চার্ট এবং গ্রাফ, আর সরকারি কর্ম কর্তারা প্রকল্পের তালিকা দিত। অঙ্কন-বোর্ডে যেগুলি এখনও সমাসীন, পরিকল্পনাধীন, প্রক্রিয়াধীন হয়ে সমাপ্তির প্রহর গুণছে। তারপর তারা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ইঞ্জিনে পরিনত হবে। বানিজ্য ও সরকারের এইসব অধিনায়করা যা কিছ সরবরাহ করেছেন, এবং সাক্ষাতকারের সময় তারা যা বলেছেন, সমস্ত কিছুই এই ইঙ্গিত দিত। ‘জাভা সম্ভবত যেকোনো অর্থনীতি যা এ পর্যন্ত উপভোগ করেছে, তাদের মধ্যে সর্ববৃহৎ সমৃদ্ধিতে অবগাহন করতে চলেছে’। তাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যে এই মর্মে কখনও কোনো প্রশ্ন তুলেছেন বা কোনো নেতিবাচক তথ্য দিয়েছেন।
বান্দুংএ ফিরে আসার সময়, যদিও আমি এই সব অভিজ্ঞতার জন্য অবাক বোধ করছিলাম, কিছু একটা আমাকে খুবই পীড়া দিচ্ছিল। আমার মনে হল, যা কিছু আমি ইন্দোনেশিয়াতে করছি, সেসব বাস্তবের চাইতে ক্রীড়ার ভাগ বেশি। যেন আমরা একটা তাসের পোকার-খেলা খেলছি। আমরা আমাদের সব কার্ড গোপন করে রেখেছি। আমরা কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারি না। বা যেসব তথ্য আমরা ভাগ করে নেই সেসবের বিশ্বস্ততার উপর নির্ভর করতে পারি না। তবুও, এ খেলা মারাত্বকভাবে গম্ভীর। এর পরিণাম আসন্ন বহু দশক ধরে লক্ষ লক্ষ জীবনের উপর প্রভাব ফেলবে। (চলবে)
আরও পড়ুন : ইকোনমিক হিটম্যান : পর্ব-১
আরও পড়ুন : ইকোনমিক হিটম্যান : পর্ব-২
আরও পড়ুন : ইকোনমিক হিটম্যান : পর্ব-৩
আরও পড়ুন : ইকোনোমিক হিটম্যান : পর্ব ৪
আরও পড়ুন : ইকোনোমিক হিটম্যান : পর্ব ৫
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫










