রাজধানীর মিরপুরে খালার বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা ব্যবসায়ী তোবারক হোসেন ও তার দুই স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। তবে তার স্ত্রী মুক্তা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
পুলিশের মোবাইল ট্র্যাকিং নিখোঁজ গৃহবধু মুক্তার সর্বশেষ অবস্থান চট্টগ্রাম দেখালেও তার সন্ধান এখনো মেলেনি। তবে এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে তিনি পালিয়ে গেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রী মুক্তা ঘর ছাড়ায় অভিমান করে দুই মেয়ে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ফারিয়া (৯) ও প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ফাহমিদা (৬) কে নিয়ে আত্মগোপন করেন ফুটপাতে গার্মেন্টস পোশাক বিক্রেতা তোবারক হোসেন। পরে গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ব্যবসায়ী তোবারককে পুলিশ হেফাজতে ও দুই মেয়েকে তাদের নানীর হেফাজতে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। পুলিশের মোবাইল ট্র্যাকিং নিখোঁজ গৃহবধু মুক্তার সর্বশেষ অবস্থান চট্টগ্রাম দেখালেও তার সন্ধান এখনো মেলেনি। তবে এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে পরকীয়ায় প্রেমিকের হাত ধরে তিনি পালিয়ে গেছেন। নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় বাগে জান্নাত জামে মসজিদের পেছনে আবাসিক এলাকায় সিরাজুল ইসলামের বাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকেন পোশাক ব্যবসায়ী তোবারক হোসেন (৪৪)। তোবারক হোসেন মিরপুর ব্লক বি গাবতলী ১ম কলোনি জব্বার হাউজিং বাড়ি নং ১৭ সি/ডি এলাকার রেজাউল হকের ছেলে। তোবারকের বাবা-মা দুই জনই মারা গেছেন। তার এক খালা বর্তমানে মিরপুর সেকশন ৬ এর কেন্দ্রীয় মসজিদের বিপরীতে ভাড়া বাড়িতে থাকেন।
প্রতিবেশীরা জানান, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায়ী তোবারক, তার স্ত্রী মুক্তা ও দুই মেয়ে ফারিয়া ও ফাহমিদাকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুরে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে চাষাঢ়ার বাসা থেকে বের হন। তবে এক সপ্তাহেও তারা আর ওই বাড়িতে ফিরে না আসায় মুক্তার মা মেহের বেগম ১৯ ফেব্রুয়ারি সদর মডেল থানায় বাদি হয়ে একটি জিডি দায়ের করেন। ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাব্বির দুই মেয়েসহ ব্যবসায়ী তোবারককে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তোবারকের কাছ থেকে জানা গেছে মুক্তার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছিল। এরপর মুক্তা তাকে বলেছে সে মার বাসায় চলে যাচ্ছে। কিন্তু সে তার মায়ের বাসায় যায়নি। স্ত্রী মুক্তা ঘর ছাড়ায় অভিমান করে তোবারকও তার দুই মেয়েকে নিয়ে খালার বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, তোবারক কে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে তথ্য পেয়েছি তাতে ধারণা করা হচ্ছে তার স্ত্রী মুক্তা কারো সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এর জের ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হওয়ায় স্ত্রী মুক্তা তার পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, মুক্তার মোবাইল ফোনের সর্বশেষ অবস্থান চট্টগ্রামের কদমতলী ডিআইটি এলাকায় পাওয়া গেছে। আমরা সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। সেখান কার পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। আশা করছি স্বল্প সময়ের মধ্যেই নিখোঁজ মুক্তার সন্ধান বের করতে পারব।
